সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোথায় রয়েছে বেঙ্গালুরুর যুবক অতুল সুভাষের চার বছরের ছোট্ট ছেলে? অতুলের বাবা ও ভাই আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ছেলেটির কী হয়েছে তা নিয়ে। কিন্তু মঙ্গলবার অতুলের স্ত্রী নিকিতা সুপ্রিম কোর্টে জানালেন, তাঁদের সন্তান হরিয়ানার ফরিদাবাদের এক বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করছে। সেই সঙ্গেই নিকিতার আইনজীবীর দাবি, ছেলেটিকে বেঙ্গালুরুতে আনা হতে পারে, যাতে সে তার মায়ের সঙ্গে থাকতে পারে।
এর আগে অতুলের বাবা পবনকুমার মোদি সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, ”আমরা কেউই জানি না ও (নিকিতা) আমাদের নাতিকে কোথায় রেখেছে। তাকে কি মেরে ফেলা হয়েছে, নাকি বেঁচে আছে… আমরা কিছুই জানতে পারছি না। আমি আমার নাতিকে আমাদের কাছে পেতে চাই।” সেই সঙ্গেই পবনের দাবি, তিনি কোনওদিন নিজের নাতিকে কোলে নেওয়া দূরে থাক চোখেই দেখেননি। যা কথোপকথন হয়েছে সবই ভিডিও কলে। পুত্রহারা বাবা এবার নিজের নাতিকে কাছে চান। তবে তারও আগে জানতে চান সে কেমন আছে। অবশেষে মঙ্গলবার এপ্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতকে জানালেন তাঁর পুত্রবধূ।
বেঙ্গালুরুর একটি আবাসন থেকে প্রযুক্তি কর্মী অতুলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে উদ্ধার হয় ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট। যেখানে স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া, শাশুড়ি নিশা সিংহানিয়া, শ্যালক অনুরাগ-সহ স্ত্রীর পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন যুবক। প্রতিটি পাতায় লেখা, ‘বিচার এখনও বাকি!’ মৃত্যুর আগে ৮০ মিনিটের একটি ভিডিও রেকর্ড করেন অতুল। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘বিচার না মেলা পর্যন্ত তোমরা যেন আমার অস্থি বিসর্জন কোরো না!’ এই নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এরপর নিকিতাকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তাঁর মা নিশা সিংহানিয়া ও ভাই অনুরাগ সিংহানিয়াকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও এই মুহূর্তে তাঁরা জামিনে রয়েছেন।