সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশের পরই বামেদের সঙ্গে ‘ইসলামপন্থী’ আইএসএফ (ISF) জোটের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। “ওদের সহবাসের ফলে বিজ্ঞানী জন্ম নেয় না বরং জিহাদি জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।” ফেসবুকে লিখছেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক।
নিজের পোস্টে বামপন্থা ও ইসলামপন্থার পার্থক্য বোঝান তসলিমা। জানান, বামপন্থী দল যখন ইসলামপন্থী দলের সঙ্গে হাত মেলায়, তখন তাঁর বড় দুঃখ হয়। দুই বিপরীত আদর্শ কী করে সহবাস করে, তা বোঝা লেখিকার সাধ্যের বাইরে। এরপরই তসলিমা লেখেন, “বামপন্থা বলে নারীর সমানাধিকার চাই, ইসলামপন্থা বলে নারীর সমানাধিকার চাই না। বামপন্থা বলে মানবাধিকার চাই, ইসলামপন্থা বলে মানবাধিকার চাই না। বামপন্থা বলে বিজ্ঞানে বিশ্বাস চাই, ইসলামপন্থা বলে বিজ্ঞানে বিশ্বাস চাই না। বামপন্থা বলে ধর্মে বিশ্বাস নেই, ইসলামপন্থা বলে নাস্তিকের ফাঁসি চাই। বামপন্থা বলে মার্ক্স, লেনিন জিন্দাবাদ, ইসলামপন্থা বলে মার্ক্স, লেনিন নিপাত যাক। বামপন্থা বিশ্বাস করে এভ্যুলুশানে, ইসলামপন্থা বিশ্বাস করে ক্রিয়েশানিজমে। বামপন্থা বলে ধর্ম হল আফিম, ইসলামপন্থা বলে সবার ওপরে ইসলাম ধর্ম তাহার ওপরে নাই। বামপন্থা বলে পয়গম্বরের সমালোচনা চলবে, ইসলামপন্থা বলে পয়গম্বরের সমালোচনা করলে মুণ্ডু কেটে ফেলব।” নিজের এই পোস্টের শেষেই ‘জিহাদি’ জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তসলিমা।
[আরও পড়ুন: দোরগোড়ায় নির্বাচন, প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে কলকাতায় বৈঠকে বিজেপি নেতৃত্ব]
তাঁর এই পোস্টের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেকে। কেউ লিখেছেন, “এরা বামপন্থী নন,বহু বছর আগেই মৌলবাদীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।” কেউ আবার লিখেছেন, “গায়ে সাদা জামা, চোখে কালো ফ্রেমের চশমা, কাঁধে ঝোলা ব্যাগ আর হাতে লাল ঝান্ডা নিয়ে ধীরেএএএএ ধীরে হাঁটলেই বামপন্থী হওয়া যায় না।” এমন বহু প্রতিক্রিয়ায় ভরে গিয়েছে কমেন্ট বক্স।