দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনা (Coronavirus) আবহে বাতিল হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিক (Madhyamik) উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষা। মূল্যায়ন পদ্ধতি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। হলে বসে প্রশ্নপত্র-উত্তরপত্রে পরীক্ষা না দিয়ে কীভাবে মূল্যায়ণ হবে পরীক্ষার্থীদের, সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার কথা ৩ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে পরামর্শ এল, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক – দুই ক্ষেত্রেই পড়ুয়ারা বাড়িতে বসে বই খুলে পরীক্ষা দিক। এই পরামর্শ অবশ্য দিলেন সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
এবছর টেস্ট পরীক্ষাও হয়নি। একেবারে কিছু না লিখে মার্কশিট পেলে পড়ুয়াদের কেরিয়ারের নানা বাধাবিপত্তি আসতে পারে। শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠানো সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পরীক্ষা সংক্রান্ত লিখিত প্রস্তাবে এ কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, ”কিছু নম্বরের হলেও বাড়ি থেকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া দরকার।” গত সোমবার নবান্ন থেকে রাজ্যের দুই মেগা পরীক্ষা বাতিলের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করতে গিয়ে তিনি জানান, বিশেষজ্ঞ কমিটি ও জনগণের মতামতের উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১৪ লক্ষের দোরগোড়ায়, একদিনে মৃত ৮৭]
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার কিছুক্ষণ পরে হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষা বাতিল করে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ। মাদ্রাসা পড়ুয়াদের মূল্যায়ন পদ্ধতিও আলাদা করে ঘোষণা হবে। পর্ষদ ও সংসদসূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই পরীক্ষা ব্যতীত মূল্যায়ন পদ্ধতি ঘোষণা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের সঙ্গে যেন সিবিএসই-র মূল্যায়নের মিল থাকে। রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা দেশের সমস্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যাতে বসতে পারে, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কুলশিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, সিবিএসই (CBSE)এখনও এ বিষয়ে কিছু ঘোষণা না করায় রাজ্যও কিছুটা সময় নিচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত শিক্ষাবর্ষে করোনা কাঁটায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ‘ওপেন বুক সিস্টেম’ অর্থাৎ বাড়িতে বসে ইমেল মারফত প্রশ্নপত্র পেয়ে বই দেখে উত্তর দেওয়ার অবকাশ পেয়েছিলেন পড়ুয়ারা। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্কুলেও এখন এই পদ্ধতিতে পরীক্ষার পক্ষে সওয়াল করলেন শিক্ষকরাও।