shono
Advertisement
Cyber Crime

অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কিনে আর্থিক প্রতারণা, সাইবার জালিয়াতির নয়া ট্রেন্ড থেকে সাবধান!

যারা নিজেদের অ্যাকাউন্ট প্রতারকদের হাতে তুলে দিচ্ছে, তারাও সমান অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 09:45 PM Feb 09, 2025Updated: 09:52 PM Feb 09, 2025

রাজা দাস, বালুরঘাট: অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কিনে অথবা ভাড়া নিয়ে প্রতারণার অর্থ জমা এবং লেনদেন। প্রতারকদের নয়া ট্রেন্ড এমনটাই। সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারিতে গ্রেপ্তার এক প্রতারককে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে। প্রতারকদের পাশাপাশি, অ্যাকাউন্ট বিক্রি ও ভাড়া দেওয়া এমন কিছু অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের নাম জানতে পেরেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ। এসব অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররাও সমান অপরাধী বলে জানিয়েছে ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ।

বন্ধুর নথি হাতিয়ে তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রচুর অবৈধ লেনদেন-এর অভিযোগে সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় রবসান জানি নামে এক যুবক। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারি ব্লকের বাসিন্দা ওই অভিযুক্তকে তিনদিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই প্রতারকদের নয়া ট্রেন্ড জানতে পেরেছে পুলিশ। উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, এখন জেনে বুঝে নিজের নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলছেন কয়েকজন। যারা প্রতারকদের কাছে আবার তাদের সেই অ্যাকাউন্টগুলি বিক্রি করে দিচ্ছেন। অ্যাকাউন্টের আর্থিক লিমিট অনুসারে সেই অ্যাকাউন্ট হোল্ডার বা গ্রাহকরা প্রতারকদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। আবার এমন কয়েকজন অ্যাকাউন্ট হোল্ডার রয়েছে, যারা তাদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের জন্য দিচ্ছে প্রতারকদের। সেখানে আর্থিক লেনদেন অনুসারে হোল্ডাররা প্রতারকদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে ভাড়া হিসেবে। এদিকে হাতে আসা এসব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই প্রতারকরা তাদের প্রতারণা অর্থ ডিস্ট্রিবিউট করে রাখছে। যেগুলি সময়মত তুলেও নিচ্ছে। এদিকে জেলাতে প্রতারকদের এই নয়া কৌশল জানতে পেরেই হতবাক পুলিশ।

ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ জানান, বংশীহারি ব্লকের একটি ঘটনায় বালুরঘাট সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই ঘটনায় ধৃত রবসান জানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো সিস্টেমটা জানতে পারেন তারা। এখন অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খোলা যায় ব্যাঙ্কে। সুতরাং সশরীরে হাজির হতে হয়না আবেদনকারীদের। সহজ পদ্ধতির কারণে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলছে কিছু অসাধু মনোভাবাপন্ন মানুষ। সেই অ্যাকাউন্ট ভাড়া বা বিক্রি করে দেওয়া হয় প্রতারকদের কাছে। ধৃত রবসান জানি এইরকম অনেক অ্যাকাউন্ট কিনে ও ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করছে। কিছু নাম তারা জানতে পেরেছেন। তাদের খোঁজ চলছে। অসাধু অ্যাকাউন্ট গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে সতর্ক করে দিয়ে ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ জানান, এমন ব্যাঙ্ক গ্রাহকরাও সাইবার ক্রাইমে জড়িয়ে পরছে। ব্যাঙ্ক প্রতারকদের মত সমানহারে অপরাধী হিসেবে গণ্য তারা। আইনানুসারে একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারি ব্লকের বাসিন্দা রবসান জানির বিরুদ্ধে অভিযোগ বেআইনি লেনদেনের। রবসান তার বন্ধু বিক্রম সরকারের প্রয়োজনীয় নথি হাতিয়ে নিয়েছিল মাস কয়েক আগে। সেই নথি দিয়ে সে তিনটি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ভিন্ন ব্যাঙ্কে। এমনকি ব্যাঙ্কের চেক বই থেকে শুরু করে এটিএমও নিজের কাছে রাখে। এদিকে বিক্রমের মোবাইলে মাঝেমধ্যেই ব্যাঙ্ক থেকে ম্যাসেজ আসতে শুরু করে। যেখানে দেখ যায় লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক লেনদেনের বিষয়। সন্দেহ হওয়াতেই বিক্রম দক্ষিণ দিনাজপুর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই পুলিশ রবসান জানির খোঁজ পায় এবং গ্রেপ্তার করেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • নয়া কায়দায় সাইবার জালিয়াতিতে চোখ কপালে দুঁদে পুলিশ কর্তাদের।
  • গ্রাহকদের সাবধান করে বলা হচ্ছে, নিজেদের অ্যাকাউন্ট নিয়ে সতর্ক থাকতে।
  • দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারিতে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে।
Advertisement