সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানবসভ্যতার ইতিহাস বদলে দেবে অপ্টিমাস। বদলে দেবে পুরনো ধ্যানধারণা। ভবিষ্যতে প্রযুক্তির উন্নতি ঠিক কোথায় যেতে পারে, তার নজির সম্ভবত মিলবে আর বছর কুড়ি পরই। কারণ এমনই দাবি করেছেন টেসলা সিইও তথা অর্বুদপতি ইলন মাস্ক।
মাস্কের সংস্থা সম্প্রতি তৈরি করছে ‘ফিউচারিস্টিক রোবট’, এরই নাম অপ্টিমাস। এটি একটি হিউম্যানয়েড রোবট। মাস্কের মতে, যা ভবিষ্যতে কোনও মানুষের ‘ডিজিটাল কপি’-ও তৈরি করতে পারবে। অর্থাৎ ‘টাস্ক’ দেওয়া হলে টেসলার তৈরি হিউম্যানয়েড রোবট অপ্টিমাস একটি মানুষের চেতনা, তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং যাবতীয় স্মৃতিশক্তি অধিগ্রহণ করে নিয়ে হুবহু তার মতো হয়ে যেতে পারবে। এ অনেকটা একটি জলজ্যান্ত মানুষের ডিজিটাল কপি। তবে এই প্রযুক্তি এখনই সম্পূর্ণ তৈরি হয়নি। পুরোপুরি তৈরি হতে বছর কুড়ির কম সময় লাগবে বলেই জানিয়েছেন মাস্ক।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মাস্ককে অপ্টিমাস নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, ভবিষ্যতে কি কখনও এমন দিন আসবে যখন অপ্টিমাস মানব চেতনাকে ‘কপি’ করতে পারবে? প্রশ্ন না এড়িয়ে, রীতিমতো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মাস্ককে উত্তর দিতে দেখা যায়, ‘‘এত তাড়াতাড়ি হবে না। কিন্তু যদি জানতে চান হবে কি না? আমি বলব হবে। নিউরালিঙ্ক আছে। তার সাহয্যে কারও মস্তিষ্কে কী চলছে, তার ছবি তুলে নিয়ে অপ্টিমাসে সেটা আপলোড করতে হবে। সেটা কী সম্ভব? এখন হয়তো না। তবে প্রযুক্তির উন্নতি দ্রুত হারে চলছে। ২০ বছরের কম সময়ের মধ্যে হয়ে যেতেই পারে।’’
প্রসঙ্গত, অপ্টিমাসকে প্রথম প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল ২০২১ সালে। এটি একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়, বাইপেডাল রোবট। এর উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। ওজন ৫৬ কেজি। এটি হাঁটতে পারে। এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম যেমন জিনিসপত্র তোলা-রাখা, ঘর মোছা প্রভৃতি করতে পারে। এটির মস্তিষ্ক চলে টেসলার তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায়। নিউরালিঙ্ক-এর এই একই সিস্টেম টেসলার গাড়িগুলিতেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
