গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: কালীপুজোর (Kalipuja) দিনই অঘটন। আনন্দ নিমেষে বদলে গেল শোকে। মিনাখাঁয় বাজির আগুনে পুড়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল নবম শ্রেণির ছাত্রের। কালীপুজোর রাতে মর্মান্তিক ঘটনার ঘটনার সাক্ষী থাকল মিনাখাঁবাসী। জখম হয়েছে আরও চার কিশোর-কিশোরী।
সোমবার ছিল কালীপুজো। সেই সঙ্গে সিত্রাংয়ের জেরে বৃষ্টি চলছিল দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত্রিবেলা বৃষ্টি একটু ধরে যেতেই ফাঁকা মাঠে বাজি ফাটাতে যায় নবম শ্রেণির পাঠরত সায়ন পাত্র (১৬)। সেই সময় অসাবধানবশত বাজির আগুন ছিটকে এসে সায়নের গায়ে লাগে। তখনই অঘটন। সঙ্গে সঙ্গে গোটা শরীরে আগুন ধরে যায়। চিৎকার করতে থাকে বছর ষোলোর কিশোর। রীতিমত আগুনে ঝলসে যায় সে। জানা গিয়েছে, তুবড়ি ফেটে বিপত্তি ঘটে। বাজির আগুনে ঝলসে জখম হয়েছে আরও চারজন- বৈশাখী পান্ডা (১৩), মনানি দাস (১৩), জয় পাত্র (৯), পিয়ন্ত মণ্ডল (১২) ও নাড়ুগোপাল দলুই (১৪)। তারা সকলে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভরতি।
[আরও পড়ুন: ফের জেল হেফাজতে মানিক ভট্টাচার্য, মৃত ব্যক্তির সঙ্গেও জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট বিধায়কের স্ত্রীর!]
এদিকে, কাছাকাছি কোনও জলের ব্যবস্থাও না থাকায় নিজেকে বাঁচাতে পারেনি সায়ন। কিশোরের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসেন সেখানে। আগুন নিভিয়ে কোনও মতে তাকে উদ্ধার করে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে মৃত ছাত্রর দেহ বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। ইতিমধ্যে মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঠিক কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তার তদন্ত নেমেছে।
প্রসঙ্গত, কালীপুজোর (Kali Puja 2022) দুপুরে বাজি পোড়াতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধে বানতলায়। কেমিক্যালের ড্রামে জ্বলন্ত বাজি ছিটকে লাগায় বানতলার লেদার কমপ্লেক্সে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা করেন আধিকারিকরা। কারখানার ভিতরে আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন। এরপর রাতে ফের সেই বাজি কেড়ে নিল এক কিশোরের প্রাণ।