দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ঝগড়া তো প্রেমের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মান-অভিমান-ঝগড়াঝাঁটি না থাকলে কি আর প্রেম জমে? কিন্তু প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়ার পর সোনারপুরের (Sonarpur) কিশোরী যা করল, তা নিঃসন্দেহে মর্মান্তিক। ঝগড়াঝাঁটির পর প্রেমিককে ভিডিও কল (Video Call) করে আত্মহত্যার পথে হাঁটল প্রেমিকা। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা এলাকার কামরাবাদ ভৌমিক পার্কের ঘটনা। প্রেমিক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন কিশোরীর বাবা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৭ বছর বয়সি কিশোরীর সঙ্গে বছর তিনেক ধরে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বাবুসোনা নামে এক যুবকের। কিশোরী একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। দু’জনই কামরাবাদ এলাকায় টিউশন পড়তে যেত। কিন্তু বাবুসোনা অন্য এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ায় কিশোরীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের (Love)সম্পর্কের অবনতি হয়। বেশ কিছুদিন ধরে এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা বেড়েছিল। শনিবার সকালে ওই মেয়েটির মা-বাবা কাজে বেরিয়ে গেলে বাবুসোনা তাদের বাড়িতে আসে। দু’জনের মধ্যে তীব্র ঝগড়া হয় বলে প্রতিবেশীরা জানান।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের গ্রেপ্তার ২ এজেন্ট, এবার সিবিআইয়ের জালে তাপস ও নীলাদ্রি]
বাবুসোনা চলে যাওয়ার কয়েকঘণ্টা পর কিশোরী তাঁকে ভিডিও কল করে। সেখানেও একপ্রস্ত ঝগড়া হয়। জানা গিয়েছে, ছাত্রী ভিডিও কলেই প্রেমিককে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। গলায় ফাঁস দেওয়ার জন্য একটা দড়ির টুকরোও দেখায়। কিন্তু তাতে আমল দেননি বাবুসোনা। কিন্তু পরে প্রেমিকার মৃত্যুর খবর পায় সে।
[আরও পড়ুন: অভিষেকের বাড়ি ঘেরাওয়ের পালটা হুমকি বিজেপির, জবাব দিল তৃণমূলও]
মৃতের বন্ধু সুরভি মৃধার বক্তব্য, ”বাবুসোনার দিদি আমায় জানায় যে ও ভিডিও কল করে আত্মহত্যা করবে বলেছে। এই শুনে ওর বাড়িতে ছুটে গিয়ে দেখি, সদর দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া মেলেনি।” এরপর আশপাশের লোকজন দরজা ভেঙে ঢুকে দেখেন, মেয়েটি ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঘরের সিলিং থেকে ঝুলছে। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ মৃত ছাত্রীর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে। এদিকে ওই যুবকের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্মৃতির পরিবার।