নব্যেন্দু হাজরা: বছরের শীতলতম দিন মঙ্গলবার রাজ্যবাসী কাটালেও তা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। পৌষের শেষেই উধাও হবে ঠান্ডা। সপ্তাহশেষে দিনের বেলায় রীতিমতো গরম লাগতে পারে রাস্তায় বেরিয়ে। তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়বে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর (Alipore Weather Office)। সৌজন্যে দু’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা অবস্থান করছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। রাজস্থানে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার আরেকটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। আর তার জেরেই এখানে তাপমাত্রা বাড়বে। বাধা পাবে উত্তুরে হাওয়া। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬-২৭ ডিগ্রির কাছাকাছি চলে যেতে পারে। সর্বনিম্ন ছুঁতে পারে ১৮ ডিগ্রি। যে কারণেই শনি-রবিবার বেশ ভালই গরম অনুভূত হবে।
বুধবার কলকাতার সকাল কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলেও পরে আকাশ পরিষ্কার হয়। ২৪ ঘণ্টা শীতের আমেজ থাকবে ঠিকই, তবে তারপরই ধীরে ধীরে বাড়বে তাপমাত্রা। তিনদিনে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এদিন তিলোত্তমার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৬ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে তুলনায় ১ ডিগ্রি কম। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.৯ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৯ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: সত্যিই কার্যকরী ককটেল থেরাপি? জেনে নিন চিকিৎসকদের মত]
ডিসেম্বরের শেষে সেভাবে ঠান্ডা না পড়লেও বছরের গোড়াতেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা উপভোগ করছেন বঙ্গবাসী। উত্তরে তো তুষারপাতও হয়েছে। কিন্তু এই শীত বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলেই খবর। বৃহস্পতিবার থেকেই ফের বাড়বে তাপমাত্রা। আগামিকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির আশপাশে চলে যাবে। তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে এ রাজ্যে বৃষ্টি হবে কি না সে বিষয়ে এখনও পরিষ্কারভাবে জানায়নি হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা চলবে আরও কয়েকদিন। ফের জাঁকিয়ে শীত কবে পড়বে, তা এখনও পরিষ্কারভাবে জানানো হয়নি। ঝঞ্ঝা কাটলে ফের উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করতে শুরু করবে। তখনই ফের শীত পড়বে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে সপ্তাহশেষে শীত কিছুটা কমবে।
এদিকে দুই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি ও তুষারপাতের পূর্বাভাস। আজ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা পাঞ্জাবে। হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।