সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঠানকোটের কায়দায় পাকিস্তানের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। রক্তাক্ত পাঞ্জাব প্রদেশের মিয়াঁওয়ালির পাক ফৌজের এই ঘাঁটি। শেষ পাওয়া খবর মোতাবেক, সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ জেহাদির। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-জেহাদ জঙ্গি সংগঠন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে পাঞ্জাব প্রদেশের মিয়াঁওয়ালির বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় ফিদায়েঁ জঙ্গিদের একটি দল। হামলার বিষয়ে পাক সেনার তরফে জানানো হয়েছে, “শনিবার ভোরে সন্ত্রাসীদের হামলার মুখে পরে মিয়াঁওয়ালির বায়ুসেনা ঘাঁটি। সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বড় নাশকতার ছক বানচাল করে দেন পাক জওয়ানরা। হামলাকারীদের সঙ্গে তীব্র গুলির লড়াই শুরু হয় তাঁদের। ৩ জঙ্গিকে ঘাঁটিতে ঢুকে হামলা চালানোর আগেই খতম করে দেয় পাক সেনা। বাকি জঙ্গিদের নিকেশ করতে এখনও লড়াই করছেন জওয়ানরা। ব্যাপক তল্লাশি শুরু করা হয়েছে ওই এলাকায়। এই ঘটনায় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে থাকা তিনটি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” জানা গিয়েছে, এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে তেহরিক-ই-জেহাদ জঙ্গি সংগঠন।
[আরও পড়ুন: পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা পাকিস্তানে, বিস্ফোরণ মৃত অন্তত ৫]
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি ভারতের (India) পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে চলা গুলির লড়াইয়ে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৬ ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী। একজন সাধারণ নাগরিকও প্রাণ হারান। নিকেশ হয় ৬ হামলাকারী। সেই হামলার ভয়াবহতা আজও ভুলতে পারেনি ভারতবাসী।পাক জঙ্গিগোষ্ঠীর মদতেই ওই হামলা হয়েছিল। এবার সন্ত্রাসবাদের আগুনে নিজের ঘরেই আগুন লেগেছে পড়শি দেশটির।
[আরও পড়ুন: বেআইনিভাবে ঢুকতে গিয়ে আমেরিকায় ধৃত ৯৭ হাজার ভারতীয় নাগরিক]
বলে রাখা ভালো, শুক্রবারই পাকিস্তান (Pakistan) ডেরা ইসমাইল খান শহরে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। যার ফলে মৃত্যু হয় ৫ জনের। আহত হন ২১ জন। তবে এখনও পর্যন্ত ওই হামলায় দায় স্বীকার করেনি কেউ। যে অঞ্চলে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেটি মূলত আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী উপজাতি এলাকা। সেখানে আইন কানুন বা সরকরাি নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। যা অন্য দেশ-সহ পাকভূমেরও বহু ইসলামিক সন্ত্রাসীদের চরণক্ষেত্র। ফলে গতকালের পর এদিনও জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হল পাক ভূম।