সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পড়ুয়াদের নেতৃত্বে হওয়া গণবিক্ষোভের জেরে অবশেষে কিছুটা পিছু হটল থাইল্যান্ড (Thailand) -এর প্রশাসন। বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করা হল গত সপ্তাহে ব্যাংককে জারি হওয়া একমাসব্যাপী জরুরি অবস্থার নির্দেশ। পাশাপাশি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচাও আন্দোলনকারীদের কাছে বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, সম্প্রতি শান্তিশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় ব্যাংককে একমাসব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। তবে কোনওভাবে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় তার দিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছেও শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অতিমারীতে চরম দারিদ্রে বিশ্বের ৩৫ কোটিরও বেশি শিশু, করুণ ছবি ইউনিসেফের সমীক্ষায় ]
আটদিন আগে থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রের সংস্কার এবং প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা (Prayuth Chan-ocha)-কে অপসারণের দাবিতে রাজধানী ব্যাংককে তীব্র বিক্ষোভ শুরু। পড়ুয়াদের নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলন এতটাই ভয়ানক আকার ধারণ করেছিল জরুরি অবস্থা জারি করে সরকার। কিন্তু, এই নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই ব্যাংককের একটি ব্যস্ত মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এর ফলে ব্যাংকক কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এরপরই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
বুধবার রাতে সরকারি টেলিভিশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, এই বিক্ষোভের ফলে থাইল্যান্ডের ক্ষতি হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা যদি সহিংসতা বন্ধ করে তবে আমি এখনই জরুরি অবস্থা তুলে নেব। এই প্রস্তাব দিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার পথে আমি এক পা এগিয়ে এলাম। আপনারাও এগিয়ে আসুন। বিক্ষোভ বন্ধ করুন।
গত তিনমাস ধরে রাজতন্ত্রের সংস্কারের দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। আরও গণতান্ত্রিক আধিকার চেয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে থাইল্যান্ডে রাজপরিবারের সমালোচনা করা নিষিদ্ধ হলেও সম্প্রতি বিক্ষোভকারী রাজা ও রানির গাড়ি রাস্তায় আটকে। এর ফলে দমনপীড়ন নীতির মাধ্যমেই আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করেছিল সরকার। কিন্তু, জনরোষ বৃদ্ধি পাওয়ার জেরে এখন ক্রমশই পিছু হটছে।