সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কী পেল? গত চারদিন ধরেই এই প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিল। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, সংস্কারের নামে শুধু ঋণসর্বস্ব আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করছেন অর্থমন্ত্রী। যা সরাসরি সাধারণ মানুষের কোনও কাজে লাগবে না। প্যাকেজ বরাদ্দের শেষদিকে এসে সাধারণ মানুষ যাতে সরাসরি সুবিধা পায়, তাঁর কিঞ্চিৎ চেষ্টা করলেন অর্থমন্ত্রী। বাড়ানো হল ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ। একই সঙ্গে বাড়তি নজর দেওয়া হল শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ঘোষণা করলেন, ১০০ দিনের কাজে ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ল। আগে এ বছরের জন্য ৬১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এর ফলে ৩ কোটি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেদের এলাকায় ফিরে যাওয়ার পর তাঁদের রোজগার পেতে যাতে সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত।
[আরও পড়ুন: সরাসরি সাহায্য নয়! করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে ঋণ দেওয়ার পরিমাণ বাড়াল কেন্দ্র]
পাশাপাশি, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে সরকার। তৃণমূলস্তরে উন্নতি করা হবে পরিকাঠামোর। প্রতিটা জেলা হাসপাতালে সংক্রমক রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি ব্লকে সরকারি সংক্রমক ল্যাব তৈরি হবে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দেশে ৩০০-র বেশি পিপিই উৎপাদনকারী সংস্থা তৈরি হয়েছে। ৫১ লক্ষ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন উৎপাদন করা হয়েছে। দিনে ৩ লক্ষ পিপিই এবং লক্ষ লক্ষ মাস্ক তৈরি হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘এবার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভর হবে ভারত’, নির্মলার ঘোষণাকে স্বাগত DRDO প্রধানের]
শিক্ষাক্ষেত্রে অনলাইন এডুকেশনের উপর জোর দিচ্ছে সরকার। ব্যবহার করা হচ্ছে টেলিভিশন এবং রেডিওকে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ই-বিদ্যা প্রকল্পের মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষা দেওয়া হবে। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটা ক্লাসের জন্য আলাদা আলাদা টিভি চ্যানেল তৈরি করা হবে। দিব্যাঙ্গ শিশুদের জন্য আলাদা ই-স্টাডি মেটেরিয়াল তৈরি হবে। সেরা ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ মে’র মধ্যে অনলাইন ক্লাস চালু হবে। অনলাইনে পড়াশোনার জন্য ১২টি চ্যানেল খোলা হচ্ছে। বেসরকারি ডিটিএইচ সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং বেশি বেশি শিক্ষামুলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করার কথা বলা হয়েছে।
The post একশো দিনের কাজে ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়াল কেন্দ্র, বিশেষ নজর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে appeared first on Sangbad Pratidin.