সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেট্রল সেঞ্চুরি করার পর বিরোধীদের ঘুম ভেঙেছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে দেশজুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি মাঠে নেমেও জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবিতে সরব হতে দেখা যাচ্ছে বিরোধী শিবিরকে। কিন্তু বিরোধীদের ঘুম ভাঙলেও সরকার এখনও নিদ্রামগ্ন। জ্বালানির আকাশছোঁয়া মূল্য নিয়ন্ত্রণের কোনও পদক্ষেপই এখনও করে উঠতে পারেনি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার। রাজ্য সরকারও কর কমানোর পথে হাঁটেনি। যার ফলে নিত্যদিন নতুন রেকর্ড গড়ছে পেট্রল-ডিজেল। সেঞ্চুরি আগেই পেরিয়েছিল। শনিবার কলকাতায় পেট্রলের দাম পেরিয়ে গেল ১০১টাকার গণ্ডিও। ডিজেল ৯৩টাকা ছুঁইছুঁই।
শনিবার শহরবাসীকে এক লিটার পেট্রলের (Petrol) জন্য খরচ করতে হবে ১০১ টাকা ১ পয়সা। লিটারপিছু ৩৯ পয়সা বাড়ল দাম। বেড়েছে ডিজেলের দামও। লিটারপ্রতি ৩২ পয়সা বেড়ে কলকাতায় ডিজেলের নতুন দাম ৯২ টাকা ৯৭ পয়সা। রাজধানী দিল্লিতেও একলাফে অনেকটা বাড়ল জ্বালানির মূল্য। সেখানে লিটারপিছু পেট্রল ও ডিজেলের (Diesel) দাম যথাক্রমে ১০০.৯১ টাকা এবং ৮৯.৮৮ টাকা। এদিন বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে প্রতি লিটার পেট্রল মিলছে ১০৬ টাকায় ৯৩ পয়সা এবং ডিজেল মিলছে ৯৭.৪৬ টাকায়। মধ্যপ্রদেশের ভোপাল শহরে পেট্রলের দাম ১১০ টাকা লিটারের কাছাকাছি। সেখানে পেট্রল বিকোচ্ছে লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা ২৪ পয়সা দরে। ডিজেল বিকোচ্ছে ৯৮ টাকা ৬৭ পয়সা দরে।
[আরও পড়ুন: কে হবেন বিজেপির রাজ্যসভার দলনেতা? মন্ত্রিসভার রদবদলের পর শুরু জল্পনা]
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলের উপর আলাদা আলাদাভাবে শুল্ক বসায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি কেন্দ্রের বসানো অন্তঃশুল্ক ও কর। করোনার প্রথম ধাক্কা আসার পরপরই কেন্দ্র জ্বালানি তেলের উপর অন্তঃশুল্ক অনেকটা বাড়িয়েছিল। যা পরে আর কমানো হয়নি। বরং কিছু কিছু রাজ্য সরকার নিজেদের মতো পদক্ষেপ করেছে জ্বালানির দাম কমানোর জন্য। কিন্তু তাতে কাজের কাজ খুব একটা হয়নি।