সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর একদিন পরই মকর সংক্রান্তি। পিঠেপুলির উৎসব। পৌষের অবসান হয়ে মাঘের প্রবেশ ঘটবে বাংলা ক্যালেন্ডারের পাতায়। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, এই দিনটি পালিত হয় দেশের সর্বত্র। কিন্তু পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি হিসেবে নয়, এক এক জায়গায় এক এক নামে এই দিনটি পালিত হয়। এই সময় তামিলনাড়ু, গুজরাট, কর্ণাটক বা অন্য রাজ্যে গেলে অন্যভাবে উদযাপন করতে পারবেন পৌষ সংক্রান্তি।
অসম
এই সময় ঘুরে আসতে পারেন প্রতিবেশি রাজ্য অসমে। এখানে এদিন পালিত হয় ‘ভোগালি বিহু’ উৎসব। এই সময় অসমেও নতুন ধান ওঠে। তাই এখানেও উৎসবে খাওয়াদাওয়া একটা বড় ব্যাপার। ‘ভোগলি’ শব্দের অর্থ ভোজন। তাই উৎসবের এমন নামকরণ। পশ্চিমবঙ্গের মতো অসমেও এই সময় নতুন চালের পিঠে তেরি হয়।
বিহার ও ঝাড়খণ্ড
এই দুই রাজ্যে উৎসব উদযাপন করা হয় খিচুড়ি খেয়ে। খেতের নতুন সবজি ও চাল দিয়ে তৈরি হয় খিচুড়ি। স্বাদ অপূর্ব। সঙ্গে থাকে নতুন গুড়ের মিষ্টি।
গুজরাট
গুজরাতে এর নাম উত্তরায়ণ। ঘুড়ি ওড়ানো এই উৎসবের অন্যতম রীতি। গুজরাটে এদিন সূর্যদেবের আরাধনা হয়। মানুষ ঘুড়িকে প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করে সূর্যদেবতার কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দেয়।
পঞ্জাব
এই রাজ্যে মকর সংক্রান্তির উৎসবের নাম মাঘি। ভোরে স্নান করে উঠে দ্বীপ জ্বালিয়ে ভগবানের আরাধনা করা হয়। শিখদের কাছে এই উৎসব ঐতিহাসিক উৎসব হিসেবে পরিগণিত হয়। এখানে গেলে এই সময় অন্যভাবে আবিষ্কার করা যায় পঞ্চনদের দেশকে।
দিল্লি ও হরিয়ানা
এখানে এদিন দেশি ঘি দিয়ে মিষ্টি প্রস্তুত করা হয়। এছাড়া হালুয়া ও ক্ষীর খাওয়ারও রীতি আছে। ভাইরা এদিন বোনেদের বাড়ি আসে, তাকে গরম জামাকাপড় উপহার দেয়। একে বলে ‘সিধা’। বিবাহিত মহিলারা তাদের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের উপহার দেয়। একে বলে ‘মানানা’। লোকসংগীত গেয়ে এই দিনটি উদযাপন করা হয়।
তামিলনাড়ু
এখানে মকর সংক্রান্তিতে পালিত হয় ‘পোঙ্গল’। এই উৎসবে সূর্যদেবের আরাধনা করা হয়। চারদিন ধরে চলে এই উৎসব। এছাড়া এই সময় নানা সুস্বাদু পদও রান্না করা হয়। সেগুলি নৈবেদ্য হিসেবে দেওয়া হয় সূর্যদেবকে। ধোসা-ইডলির বাইরে এই পদগুলি এই সময় আপনার রসনাকে তৃপ্ত করবে।
The post গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন না? অন্যভাবে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করতে ঘুরে আসুন এই সব রাজ্যে appeared first on Sangbad Pratidin.