সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশে ইতিমধ্যেই টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি দেশ এই ভ্যাকসিনের ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে। এবার সরকারিভাবে ফাইজারের করোনা টিকা ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়ে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২০২০ সালের শেষ দিনে ফাইজার-বায়োএনটেকের (Pfizer- BioNtech) সম্ভাব্য কোভিড প্রতিষেধকের জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে WHO। ফাইজারই প্রথম সংস্থা হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে করোনার টিকার ছাড়পত্র আদায় করল।
WHO বলছে, ফাইজারের টিকার জরুরি ছাড়পত্র অন্যন্য দেশের বিভিন্ন সংস্থার জন্য রাস্তা খুলে দিল। এখন গোটা বিশ্বের ওষুধ প্রস্তুতকারীরা চাইলেই এই ভ্যাকসিন আমদানি করে বিতরণ করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক আধিকারিক বলছিলেন, এটা খুব ভাল পদক্ষেপ। তবে, আমরা গোটা বিশ্বের আরও বৃহৎ প্রচেষ্টা এবং মেলবন্ধন দেখতে চাই, যাতে বিশ্বের সব প্রান্তের সব মানুষের ভ্যাকসিনের চাহিদা পুরণ করা যায়। বিবৃতিতে WHO জানিয়েছে, “করোনার এই টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত শর্ত পুরণ করেছে। সেই সঙ্গে এর ব্যবহারে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমারও ইঙ্গিত মিলেছে।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দেওয়ার অর্থ হল, UNICEF-এর মতো WHO’র সহকারী সংস্থাগুলিও এখন সরকারিভাবে এই ভ্যাকসিন কিনতে পারবে, এবং গরিব দেশগুলিকে সাহায্য করতে পারবে।
[আরও পড়ুন: সিনোফার্মের টিকায় সবুজ সংকেত, প্রথম করোনা ভ্যাকসিন পেল চিন]
কিন্তু কতটা কার্যকর হবে এই ভ্যাকসিন? মার্কিন সংস্থা ফাইজার জানিয়েছিল তাদের ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকর। শেষ দফা ট্রায়ালের চূড়ান্ত বিশ্লেষণের পর কোম্পানির দাবি ছিল, তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ফলে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশ্বজুড়ে এখনও দাপট দেখিয়ে চলেছে মারণ ভাইরাস। দোসর হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশে এই ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের হানা। কিছু জায়গায় প্রকোপ সামান্য নিম্নমুখী হলেও করোনাতঙ্ক থেকে পুরোপুরি নিস্তার মেলেনি। আর সেই কারণেই ভ্যাকসিন আসার প্রহর গুনছে প্রত্যেকে। এর মাঝেই ফাইজারের টিকার ছাড়পত্র পাওয়া নিসন্দেহে নতুন করে জীবনীশক্তি জোগাবে।