ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃতীয়বার মন্ত্রিসভা গঠন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। ভোটে জিতে এবার মন্ত্রিত্ব কারা পাচ্ছেন, সেদিকে আগ্রহ ছিল সকলেরই। রবিবার বিকেলে ৪৩ জনকে ফোন করে শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হল। সূত্রের খবর, এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় (Cabinet ministry) দেখা যাবে বেশ কয়েকটি নতুন মুখ। প্রাক্তন, অভিজ্ঞদের সঙ্গে রাজনীতির পথে নতুন করে পা বাড়ানো জয়ী জনপ্রতিনিধিদের কয়েকজনের মাথায় উঠবে মন্ত্রিত্বের মুকুট। এবারের মন্ত্রিসভা খানিকটা বড় হতে চলেছে। ২৪ জন পূর্ণমন্ত্রী, ৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং ১০ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী-সহ ৪৩ জন শপথ নেবেন সোমবার। তালিকায় একবার চোখ রাখা যাক –
আগের দু’বারের মতো এবারও মন্ত্রী হয়ে দায়িত্ব সামলাবেন –
ফিরহাদ হাকিম
অরূপ বিশ্বাস
সুব্রত মুখোপাধ্যায়
পার্থ চট্টোপাধ্যায়
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
সুজিত বসু
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
ব্রাত্য বসু
স্বপন দেবনাথ
সাধন পাণ্ডে
সন্ধ্যারানি টুডু
ভোটে না লড়েও বিদায়ী অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra) শপথের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী আগামী ৬ মাসের মধ্যে কোনও কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে। সম্ভবত এবার অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব তাঁকেই দিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই এ নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। তিনি শপথগ্রহণের আমন্ত্রণ পাওয়ায় বোঝা গেল, রাজ্যের কোষাগার অর্থাৎ অর্থদপ্তরের ভার সামলাতে তাঁর চেয়ে বেশি ভরসা আর কাউকেই করা হচ্ছে না। কিন্তু অমিত মিত্র অসুস্থ থাকায় সোমবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। ভারচুয়ালি শপথ নেবেন তিনি বলেই খবর।
[আরও পড়ুন: করোনার আঁধারে ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারা’, রবীন্দ্রজয়ন্তীতে আলোর গানে গলা মেলালেন মমতা]
নতুন মুখের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জঙ্গলমহল তথা ঝাড়গ্রাম থেকে জিতে আসা সাঁওতালি ছবির অভিনেত্রী বীরবাহা হাঁসদা। রয়েছেন জঙ্গলমহলের বিধায়ক জ্যোৎস্না মাণ্ডি, শ্রীকান্ত মাহাতো। এছাড়া নতুনদের মধ্যে থাকছেন –
মনোজ তিওয়ারি
অখিল গিরি
রথীন ঘোষ
শিউলি সাহা
রত্না দে নাগ
দিলীপ মণ্ডল
আখরুজ্জামান
আইপিএস হুমায়ুন কবীর
মালের বিধায়ক, দীর্ঘদিনের নেতা বুলুচিক বরাইকও প্রথমবারের জন্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে চলেছেন। তাঁকে এবার মন্ত্রিত্ব দিতে হবে, এই দাবিতে সরব হয়েছিলেন মালবাজারবাসী। এরপরই বুলুচিক বরাইকের কাছে সোমবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য ফোন যায় বলে সূত্রের খবর। মন্ত্রিসভার এই তালিকা পর্যালোচনা করলেই বোঝা যায়, যেসব জায়গায় তৃণমূলের ফল ভাল হয়েছে, সেখানকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই অধিক ঠাঁই পাচ্ছেন মন্ত্রিসভায়।