নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: লোকসভার সাংসদ হিসেবে পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদ পার করলেও সপ্তদশ লোকসভায় একবারও মুখ খোলেনি বিজেপির তারকা সাংসদ সানি দেওল। পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের এই সাংসদ সানিকে একাধিকবার লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখার জন্য বলা হলেও তিনি তা পাশ কাটিয়ে গিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর।
সপ্তদশ লোকসভায় প্রথমবার নির্বাচিত হয়ে আসা সাংসদরা যাতে বক্তব্য রাখেন সেদিকে বিশেষ নজর দিয়েছিলেন বিড়লা। বহু সাংসদইই সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেও সানি তা কাজে লাগাতে চাননি। সানি ছাড়াও আরও কয়েকজন সাংসদও লোকসভায় পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদ পার করলেও একবারও মুখ খোলেননি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারিও।
[আরও পড়ুন: বাংলাকে বঞ্চনার প্রতিবাদ! ১০০ দিনের বকেয়া চেয়ে মোদিকে চিঠি রাহুলের]
কর্নাটকের চার বিজেপি সাংসদ বি এন বাচে গৌড়া, অনন্ত কুমার হেগড়ে, ভি শ্রীনিবাস প্রসাদ, রমেশ জিগনিয়ানি এবং অসমের লখিমপুরের বিজেপি সাংসদ প্রধান বরুয়াও সংসদে একবারও মুখ খোলেননি। উত্তর প্রদেশের ঘোসি-র বিএসপি সাংসদ অতুল রাই ও লোকসভায় একবারও মুখ খোলেননি। রাই ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন জিতে সাংসদ হওয়ার পর থেকেই দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে চিকিৎসার জন্য জামিন পেয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাও লোকসভায় একবারও মুখ খোলেননি। তিনি অবশ্য ২০২২ সালে এপ্রিল মাসে উপ-নির্বাচনে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন।