সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘোষণাটা হঠাৎই করে ফেললেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে নেতার ভূমিকায় দেখা যাবে না তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা চিঠি লিখে জানিয়ে দিলেন নিজের সিদ্ধান্তের কথা। তাঁর এমন সিদ্ধান্তে ক্রিকেট মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেক প্রাক্তন যেমন কোহলির ব্যাখ্যাকে সমর্থন জানিয়েছেন তেমনই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ইরফান পাঠানের মতো প্রাক্তন। তিনি তো বলেই দেন, কোহলির মতো সফল অধিনায়কের এমন সিদ্ধান্ত সত্যিই অবাক করছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়লেন কোহলি?
আইসিসি টুর্নামেন্টে ব্যর্থতা: ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তীরে এসে তরী ডুবেছিল। ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে ট্রফি হাতছাড়া হয় কোহলির টিম ইন্ডিয়ার। এরপর ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও আশানুরূপ ফল হয়নি। সেমিফাইনালেই ছিটকে গিয়েছিল ভারত। সর্বশেষে ব্যর্থতা চলতি বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে (WTC Final)। নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাস্ত হয়ে প্রথমবার এই টেস্টে বিশ্বসেরা হওয়ার সুযোগও হাতছাড়া করেছেন কোহলি। দেশের সফলতম ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনির জুতোয় পা গলিয়ে তিন-তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্টে ব্যর্থ কোহলি। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ তাই মনে করছেন, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলে হয়তো এমনিই অধিনায়কত্ব খোয়াতেন তিনি। আর সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন।
[আরও পড়ুন: দলের প্রাক্তন চিকিৎসকের যৌন নির্যাতনের শিকার মহিলা জিমন্যাস্টরা! বিস্ফোরক বাইলস]
আইপিএলে রোহিত শর্মার সাফল্য: টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) সাফল্য নিঃসন্দেহে ঈর্ষণীয়। দেশের জার্সি গায়ে নজরকাড়া পারফরম্যান্স তাঁর। নিদাহাস ট্রফি এবং ২০১৮ এশিয়া কাপে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সেরার সেরা করেছেন ‘হিটম্যান’। আইপিএলেও চূড়ান্ত সফল ক্যাপ্টেন রোহিত। তাঁর হাত ধরেই পাঁচ-পাঁচবার ট্রফি ঘরে তুলেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। উলটোদিকে ১৩টা মরশুম কেটে যাওয়ার পরও ট্রফি অধরা আরসিবি নেতা কোহলির। স্বাভাবিকভাবেই তাই একটা অদৃশ্য চাপ কাজ করেছে কোহলির উপর। এটিও নেতৃত্ব ছাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে আসছে।
ম্যানেজমেন্টে বদল: টিম ইন্ডিয়ায় শাস্ত্রী-কোহলি জুটি যে একেবারে রাম-লক্ষ্মণ জুটি, তা সকলের জানা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই নাকি কোচের দায়িত্ব ছাড়বেন রবি শাস্ত্রী। কোচ হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি কোনও প্রাক্তন ভারতীয়রই। তাছাড়া নতুন নির্বাচন কমিটির সঙ্গেও তলে-তলে মনোমালিন্য রয়েছে কোহলির বলে শোনা যায়। সবটা বিবেচনা করেই হয়তো নেতৃত্ব ছাড়ার পথেই হাঁটলেন বিরাট।