সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছুটি পেলেই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়তে ইচ্ছা করে? দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে থাকা নতুন নতুন জায়গা খুঁজে বের করতে ভালবাসেন? তাহলে নিঃসন্দেহে সড়ক পথে যাত্রাও আপনার প্রিয়। প্রকৃতির সৌন্দর্যের বুক চিড়ে এঁকে-বেঁকে এগিয়ে যাওয়া পথগুলি দিয়ে যেতে কারই না ভাল লাগবে! কিন্তু জানেন কি, এদেশে এমন অনেক সুন্দর-আকর্ষণীয় রাস্তা আছে, যেখান দিয়ে যেতে এখনও গা ছমছম করে। যেসব রাস্তার সঙ্গে আজও জড়িয়ে নানা অলৌকিক-অবিশ্বাস্য কাহিনি! চলুন ঘুরে দেখা যাক তালিকায় কোন কোন পথের নাম রয়েছে।
গাটা লুপস (মানালি-লেহ হাইওয়ে):
বাইকপ্রেমীদের কাছে এ সড়ক অত্যন্ত প্রিয়। এই পথের প্রতিটি বাঁকেই রোমাঞ্চ। কনকনে ঠান্ডায় এই রাস্তায় বাইক চালানো বেশ চ্যালেঞ্জিংও বটে। কিন্তু প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার পাশাপাশি এ পথের আড়ালে ঘটে যায় ভৌতিক ঘটনাও। শোনা যায়, একবার এক ট্রাক চালকের সঙ্গে এক সাফাইকর্মী লেহ যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় তুমুল তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রাকটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তা খাদে পড়ে যায়। আর সেই সাফাইকর্মী আটকে পড়েন বরফাবৃত রাস্তায়। এক মুঠো খাবার আর জলের জন্য বেশ কয়েকদিন চাতক পাখির মতো সেখানেই বসেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মৃত সাফাইকর্মী ওই রাস্তার মোড়েই সমাধিস্ত হন। তারপর থেকেই নাকি পর্যটকরা এই রাস্তায় গেলেই একজনকে জল চাইতে দেখতে পেতেন। বর্তমানে সেখানে একটি ছোট্ট মন্দির তৈরি হয়েছে। বাইকআরোহীরা সেখানে জলের বোতল-খাবার ইত্যাদি দান করেন।
[আরও পড়ুন: নির্জনতাকে সঙ্গী করে ইতিহাসের গোপন কথা বলতে ডাকছে বড়ডাঙা]
আরে কলোনি (মুম্বই):
মুম্বইয়ের সবচেয়ে ভূতুড়ে রাস্তা হিসেবে পরিচিত এই আরে কলোনি। দুদিকে আকাশচুম্বি গাছ। মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে কালো পিচের রাস্তা। দিনের বেলা আর পাঁচটা জায়গার মতোই স্বাভাবিক এখানকার ছবি। কিন্তু সন্ধে নামলেই গুমোট অন্ধকারের মধ্যে থেকে যেন হাতছানি দেয় অশরীরীরা। অনেকেই জানান, গাড়িতে ওই পথ দিয়ে রাতে যাওয়ার সময় সাদা শাড়ি পরিহিতা এক যুবতী পথ আটকায়। তাকে লিফ্ট দিতে অনুরোধ জানায়। প্রথমটায় তাকে শান্ত মনে হলেও গাড়িতে চেপে বসতেই বদলে যায় তার রূপ। তার বিস্ফারিত হিংস্র চোখ দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। শুধু তাই নয়, এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অনেকে বাচ্চার কান্নার শব্দও শুনেছেন। আবার কেউ কেউ রাস্তার মাঝে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন।
রাঁচি-জামশেদপুর রোড (ঝাড়খণ্ড):
স্থানীয়দের মতে, রাঁচি-জামশেদপুর ৩৩ নম্বর জাতীয় সড়কটি নাকি অভিশপ্ত। এই রাস্তার একটি জায়গায় দু’দিকে দুটি ছোট মন্দির আছে। শোনা যায়, মন্দির দুটির সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে প্রণাম না করলে বিপদ ঘটতে পারে। আপনি নাস্তিক হলে এ পথে আসলে হয়তো নিজের মত পরিবর্তন করতে বাধ্য হবেন।
[আরও পড়ুন: বসন্তে বরফের মাঝে প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে চান? আপনার গন্তব্য হোক ছাঙ্গু লেক]
সত্যমঙ্গলম (তামিলনাড়ু):
এ সড়কের প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনাকে আকৃষ্ট করবেই। এককালে এই রাস্তার ধারের জঙ্গলেই রাজত্ব করতেন বীরাপ্পন। ২০৯ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত এই রাস্তাটি তামিলনাড়ুর সবচেয়ে ভয়ংকর। অন্ধকারে এই পথে হঠাৎই তীব্র চিৎকার শোনা যায়। আবার কখনও পথের মাঝেই শূন্যে ভেসে থাকতে দেখা যায় লন্ঠন। তাই রাতে এই রাস্তা মানুষ এড়িয়েই চলেন।
The post দেশের এই সব রাস্তায় আজও হাতছানি দেয় অশরীরীরা, আপনার অভিজ্ঞতা হয়েছে? appeared first on Sangbad Pratidin.