সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছু দল সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়, তারা বরং সন্ত্রাসবাদীদের ব্যাপারে নরম মনোভাবই দেখিয়ে থাকে। রবিবার এই ভাষাতেই অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party) ও কংগ্রেসকে (Congress) আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
২০০৮ সালের ২৬ জুলাই আহমেদাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটে। ওই নাশকতার ঘটনায় ৫৬ জনের মৃত্যু হয়। ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছিলেন। এদিন উত্তরপ্রদেশের হরদোইয়ের জনসভায় সেই প্রসঙ্গ তুলে মোদি বলেন, উত্তরপ্রদেশের আগের সরকার সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। মোদি সরাসরি বলেন, “সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসের কাজকর্ম চিন্তাজনক। এরা সন্ত্রাসবাদীদের সম্মান জানিয়ে কথা বলে। এদের কাছে ওসামা হচ্ছে ওসামাজি।” মোদির কটাক্ষ, “বাটলা হাউস এনকাউন্টারে জঙ্গিদের মৃত্যুর পর এদের চোখ ছলছল করে উঠেছিল।”
[আরও পড়ুন: লক্ষ্য অবিজেপি জোট! উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর]
মোদি অভিযোগ করেন, “সমাজবাদী পার্টি সরকার বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদীদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল। এই লোকেরাই পরবর্তীকালে বিস্ফোরণের চক্রান্ত করে। ক্ষমতায় থাকাকালীন সমাজবাদী পার্টি সরকার এই সন্ত্রাসবাদীদের বিচার হতে দেয়নি।”
বিজেপি সাধারণত কংগ্রেসকেই তোষণের রাজনীতির জন্য অভিযুক্ত করে থাকে। তাদের বরাবরের অভিযোগ, মুসলিম সমর্থনকে ভিত্তি করে ভোটে জেতার কৌশল নিয়ে থাকে কংগ্রেস। বিজেপির আশঙ্কা উত্তরপ্রদেশে এই সমর্থন এবার সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসের দিকে যেতে পারে। ফলে পালটা বিভাজনের রাজনীতিতেই জোর দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। ক’ দিন আগে একটি জনসভায় যোগী আদিত্যনাথ অভিযোগ করেন, ‘সপা’ ভোজপুর বিধানসভাকে ‘ইসলামাবাদে’ পরিণত করার চেষ্টা করছে। এদিন মোদির গলাতেও শোনা গেল সেই সুর।
[আরও পড়ুন: নদীতে পড়ল বরযাত্রীর গাড়ি, বিয়ের আসরে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় বর-সহ মৃত ৯]
মোদি বললেন, “যারা তোষণের রাজনীতির কারণে আমাদের (হিন্দুদের) উৎসবগুলি বন্ধ করে দিয়েছিল, তারা ১০ মার্চ উত্তরপ্রদেশের জনগণের উত্তর পাবে।” উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের সাত দফা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ১০ মার্চ।