সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকাতুরে হলে কী হয়? নির্বিঘ্নে চুরি করেও মন্দির থেকে বেরিয়ে আসা যায় না। মন্দিরের গরম বিছানার অমোঘ আকর্ষণও উপেক্ষা করা যায় না। তাতে আবার এমন কালঘুম আসে, যা কিনা পুলিশকে এসে ভাঙাতে হয়। এমনই বিচিত্র ঘটনার সাক্ষী থাকলেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) শাজাপুরের বাসিন্দারা।
শাজাপুরের লালবাঈ-ফুলবাঈ মাতার মন্দিরে ঘটেছে এই ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিশূল দিয়ে মন্দিরের তালা ভেঙেছিল চোর। তারপর দেবীর গয়না ও মন্দিরের অন্যান্য সামগ্রী চুরি করেছিল। কিন্তু বিছানা দেখেই বোধহয় শীতের রাতে একটি গা এলিয়ে নিতে ইচ্ছে হয়েছিল তাঁর। বিশ্রামের প্রশ্রয়েই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যায় সে। সকালে মন্দিরের এক কর্মচারী এসে যখন তাকে দেখতে পায় তখনও ঘুমিয়ে ছিল চোর। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তখনও গভীর ঘুমে ছিল সে। পুলিশ এসে তাঁকে জাগানোর চেষ্টা করলে, আরও একটুখানি ঘুমোতে দেওয়ার আবদার করে।
[আরও পড়ুন: এক ঘণ্টারও কম সময়ে ৪৬ রকম পদ রান্না, বিশ্বরেকর্ড তামিলনাড়ুর স্কুলছাত্রীর]
যদিও চোর বাবাজির সে আবদার রাখেননি পুলিশকর্মীরা। সেই অবস্থাতেই থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে গিয়ে ঘুম ভাঙলেও দিশেহারা হয়ে পড়ে ওই যুবক। নিজের নাম পর্যন্ত বলে উঠতে পারে না। স্থানীয়দের অনেকের বিশ্বাস, দেবীর কৃপাতেই চুরি করতে এসে কালঘুমে আচ্ছন্ন হয়েছিল ওই চোর। দেবীর গয়না চুরি করার চেষ্টা করেছিল বলেই তার এমন দিশেহারা অবস্থা বলে দাবি করেছেন অনেকে। মন্দিরের এক কর্মী জানান, এর আগেও একাধিকবার মন্দিরের সম্পত্তি চুরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। গতবার যে বা যারা মন্দিরের মূল্যবান সামগ্রী চুরি করেছিল, কিছুদিন বাদে এসেই আবার মন্দির চত্বরে তা রেখে যায়। তবে পুলিশের অনুমান, ঘুম থেকে উঠে শ্রীঘর দর্শন করেই নিজেকে বাঁচাতে দিশেহারা হওয়ার নাটক করছে যুবক। তার পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন পুলিশ কর্মীরা।