অর্ণব আইচ: সাধারণত চুরি–ডাকাতির ক্ষেত্রে নগদ অর্থ কিংবা গয়নার দিকেই নজর থাকে চোরেদের। কিন্তু দোকান ভেঙে একেবারে বইচুরি! কলেজস্ট্রিটের (College Street) একটি দোকানে সম্প্রতি ঘটেছে এমনই ঘটনা। দোকান ভেঙে ক্যাশ বাক্সে রাখা নগদ টাকা নয়, ১০০টি বইও চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীরা।
যিনি দোকানের মালকিন, তিনি আদতে বরানগরের বাসিন্দা। তবে শম্ভু চ্যাটার্জি স্ট্রিটে দীর্ঘদিন ধরে একটি বইয়ের দোকানে রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি দোকানের লক ভেঙে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। তারা ২১ হাজার ৫০০ টাকার বই চুরি করে পালায়। এছাড়া নগদ ৩ হাজার ৩০০ টাকাও চুরি করে তারা। এরপরই জোড়াসাঁকো থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। যদিও পুলিশের ধারণা, চোর বই পড়ার জন্য চুরি করেনি। চোরাই বইগুলি বইপ্রেমীদের কাছে বিক্রিই করতে হবে তাদের। আর তাই পুরনো বইয়ের দোকানে উপরেও নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: দু’মাস পরেই প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা, এখনও স্কুল না খোলায় উদ্বেগে উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ারা]
এদিকে, এর মধ্যে আবার মানিকতলায় মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। পুলিশ জানিয়েছে, মানিকতলার বাগমারি রোডের উপর দিয়ে ফোন কথা বলতে বলতে যাচ্ছিলেন অভিযোগকারী। তখনই এক দুষ্কৃতী তাঁর মোবাইল ফোনটি ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। তিনি চিৎকার করে তার পিছনে তাড়া করলেও তাকে ধরা সম্ভব হয়নি। মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এর পাশাপাশি অন্য একটি ঘটনায় চুরির অভিযোগ উঠল এক বিউটিশিয়ানের বিরুদ্ধে। পূর্ব কলকাতার ট্যাংরা থানা এলাকার ক্রিস্টোফার রোডের বাসিন্দা এক মহিলা সম্প্রতি একটি পার্লারে যান। ফেসিয়াল করার সময় তিনি কানের দুল পাশের টেবিলে রেখে দেন। কিন্তু ফেসিয়াল করার পর তিনি দেখেন দুটি সোনার দুলই উধাও। তার অভিযোগের আঙুল পার্লারের বিউটিশিয়ানের বিরুদ্ধে। এই ব্যাপারে তিনি ট্যাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনটি ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে দুষ্কৃতীদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।