সদ্যপ্রকাশিত কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার পরই শিরোনামে চলে এসেছে কনজিউমার সেক্টর। বাজার বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, বিনিয়োগকারীদের একটা বড় অংশ এই খাতে লগ্নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি গ্রোথের নিরিখেও এই সেক্টরের ভবিষ্যতে প্রভূত উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। লিখছেন লগ্নি পরামর্শদাতা নীলাঞ্জন দে
বাজেট ও আয়কর
‘নিউ রেজিম’ প্রথম পছন্দ আয়করদাতাদের একাংশের। সরকারী নীতি দেখে মনে হচ্ছে ‘ওল্ড’ নয়, ‘নিউ’-ই এখন বেশি করে চলবে। আরও বেশি করে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে নিউ রেজিম, এ কথা বিলক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এই বাজেটের পরিপ্রেক্ষিতে। তাই আয়করদাতাদের কথা মাথায় রেখে বাজেট স্পেশাল ইস্যুতে প্রাসঙ্গিক কয়েকটি বিষয়।
ইন্ডিভিজুয়াল ট্যাক্সপেয়ারদের জন্য
১. যখন নিউ রেজিম নিজের জন্য নেবেন, তখন বেশির ভাগ ডিডাকশন/এক্সেম্পশন ছেড়ে দিতে হবে, সুবিধা নিতে পারবেন না। আয়কর আইনের সেকশন ৮০ সি অথবা ৮০ ডি এই শ্রেণিভুক্ত।
২. তবে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (৭৫,০০০ টাকা) আপনার বেতনের (স্যালারিড এম্পলয়ির কথা বলা হচ্ছে) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
৩. যাঁরা‘রেসিডেন্ট ইন্ডিভিজুয়াল’, এবং মোট রোজগার বছরে ৭০,০০,০০০ টাকার কম, তাঁরা হয় ২৫,০০০ টাকার রিবেট পাবেন নয় আসল ট্যাক্স লায়াবিলিটি অনুযায়ী হিসাব কষে নেবেন (যেটি কম হবে, সেটি)।
৪. এখানে খেয়াল রাখতে হবে যে বিক্রি (অর্থাৎ সেল ট্র্যানজ্যাকশনের) ক্ষেত্রে, যেখানে ইক্যুইটির প্রসঙ্গ উঠছে (অথবা ইক্যুইটি শেয়ার) সেখানে শর্ট এবং লং টার্ম ক্যাপিটাল গেনসের উপর করের হার আলাদা।
[আরও পড়ুন: বরাদ্দ করুন রিস্ক প্রোফাইলের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, লগ্নির আগে জানুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য]
ক্যাপিটাল গেনসের ক্ষেত্রে আয়কর–
বাজেটের পরিপ্রেক্ষিতে কনজিউমার সেক্টর
ইকোনমিক সার্ভে এবং বাজেট ২০২৪-এ একাধিক ইঙ্গিত রয়েছে, যা কনজিউমার সেক্টরের পক্ষে ইতিবাচক। মার্কেটের অনেকেই এই অভিমত পেশ করেছেন। ব্রোকিং সূত্রে কিছু জরুরি পয়েন্ট এই
প্রসঙ্গে :
১. ভারতের বাজারে কনজিউমার স্টকে আগামিদিনে ভাল করার সম্ভাবনায় ইতিমধ্যে আগ্রহী হয়েছেন ইনভেস্টরদের মধ্যে একটি শ্রেণি।
২. প্রিমিয়ামাইজেশনের সুবিধা পাবে বিভিন্ন কনজিউমার পণ্য বিক্রেতা এবং ডিস্ট্রিবিউশন সংস্থা।
৩. স্মার্ট ফোন, অটোমোবাইল, ব্র্যান্ডেড পোশাক এবং নানা ধরনের ইলেকট্রনিক্স এই তালিকায় বিশেষভাবে উল্লেখ্য।
৪. ভবিষ্যতের ভারতে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ এবং সেই সম্বন্ধীয় সুবিধা পাবেন বিভিন্ন সেগমেন্ট, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত মানুষ।
এর প্রেক্ষিতে কনজিউমার স্টকে কৌশলী ইনভেস্টর নিজের অ্যালোকেশন কি বাড়াতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তর সহজে দেওয়া যাবে না, তবে অবশ্যই ইনভেস্টর নিজের পরামর্শদাতার সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন এই বিষয়ে। তবে সাধারণভাবে বলা যেতে পারে যে রিস্ক সম্বন্ধে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকা দরকার বলে টিম সঞ্চয় মনে করে। পেশাদার অ্যাডভাইজাররা নানা কনজিউমার স্টক-ভিত্তিক পোর্টফোলিওর কথা উল্লেখ করেন। যে নামগুলো মাঝেমাঝেই উঠে আসে সেগুলোর সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হল। চার্টের দিকে চোখ ফেরান।
চার্ট ১
এছাড়া যাঁরা সরাসরি নিতে চান না, তাঁদের জন্য নানা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার পরিচালিত কনজিউমার ফান্ড আছে। পক্ষপাতহীনভাবে আমরা দৃষ্টান্ত হিসাবে Axis Nifty India Consumption ETF-এর কথা বলতে পারি। এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডটি নিফটি ইন্ডিয়া কনজাম্পশন ইনডেক্সকে অনুসরণ করে। প্রধান সেক্টরগুলো এইভাবে সাজানো আছে :
চার্ট ২