ওঠা-পড়ার সন্ধিক্ষণে, এবং পরিস্থিতি বুঝে, অনেক সময় রিব্যালেন্সিংয়ের প্রয়োজন হয়। ইনভেস্টরদের তা করে নেওয়ার পরামর্শও দিয়ে থাকি আমরা, বিশেষ করে যখন মার্কেটের অবস্থায় পরিবর্তন ঘটে এবং লগ্নিকারীর অ্যাসেট অ্যালোকেশনে বদল আনতে হয়।

অতএব বুঝে নিন, আপনার নিজের হোল্ডিংসেও কোনও ধরনের অদলবদল দরকার হবে কি না। ইক্যুইটির বাজার (অক্টোবরের পর থেকে ধরলে) উল্লেখযোগ্য ভাবে পড়েছে। আমার স্পষ্ট ধারণা, অনেকেরই কাছে পোর্টফোলিওর মধ্যে ইক্যুইটির অংশটি খুব ভারি। তাই হয়তো অ্যালোকেশনের কৌশল বদলে ফেলা দরকার। অবশ্য ইক্যুইটির প্রতি যদি আপনার বিশ্বাস অক্ষুণ্ণ থাকে, এবং পোর্টফোলিওর অন্তর্গত স্টক/ফান্ডের প্রয়োজনীয়তা অটুট থাকে, তাহলে অন্য কথা। তখন হয়তো কোনও বড় – ধরনের পরিবর্তন নাও করতে চাইবেন আপনি।
রিব্যালেন্সিং বেশ ভেবেচিন্তে, কৌশল মেনে করতে হয়। পুনর্বিন্যাস করার সময় দেখবেন এর জন্য কোন শর্ট/লং টার্ম ক্যাপিটাল গেনস হচ্ছে কি না। অথবা এক্সিট লোড-সহ অন্যান্য এক্সপেন্স বহন করতে হচ্ছে কি না। সার্বিকভাবে রিব্যালেন্সিং আপনার পোর্টফোলিও আরও স্থিতিশীল করবে, আরও সময়োপযোগী করতে পারবেন। এখনকার ক্যাপিটাল মার্কেটের ট্রেন্ড দেখে-বুঝে অদলবদল আনবেন। অবশ্যই পেশাদারের সাহায্য নিন, তিনিই আপনাকে সঠিক পদ্ধতি বুঝিয়ে দিতে পারবেন।
রিব্যালেন্সিং কেবল একগুচ্ছ ট্র্যানজাকশন নয়, তার নিজস্ব কার্য-কারণ সম্পর্ক থাকে। আজকের মার্কেট ট্রেন্ডের মাঝে আপনার অবস্থান ঠিক কোথায়, কোন অ্যাসেটকে প্রাধান্য দেবেন আর কোনটার ভার কমিয়ে আনবেন–এই সমস্তই আপনার জন্য জরুরি প্রশ্ন। কৌশলগত পরিবর্তন সম্ভাব্য রিটার্ন বাড়াতে পারে, এবং অন্যান্য গোলসের পক্ষে সহায়ক, এই বিষয়টি সর্বদা খেয়াল করে চলুন।