সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময় এমন এসেছে৷ অ্যাকচুয়াল জগতের চেয়ে ভারচুয়াল জগতেই বেশি ভাল থাকেন মানুষজন৷ কিন্তু এই ভাল থাকার আড়ালেই লুকিয়ে রয়েছে কিছু বিপদ৷ বিশেষ করে ফেসবুকের বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে৷ ভাল-মন্দের এই ফারাক খুবই সূক্ষ্ম৷ একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই ঘটতে পারে বড় বিপদ৷ তাই ফেসবুক যা খুশি পোস্ট করার আগে জেনে নিন ফেসবুকের বুকে কোন পোস্টগুলি একেবারেই করবেন না৷
জন্ম তারিখ দেবেন না – ফেসবুকে অনেকেই জন্মের সাল তারিখ দিয়ে থাকেন৷ অনেকে আবার পরিবারের সদস্যদেরও জন্মের সাল-তারিখ দিয়ে দেন৷ কিন্তু এর মাধ্যমে নিজের কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দুষ্কৃতীদের হাতে দিয়ে দিচ্ছেন না তো? সাধারণত বেশিরভাগ মানুষই নিজের জন্ম তারিখ ও সালের সঙ্গে মিল রেখে গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড গুলি দিয়ে থাকেন৷ এটাই অনেক সময় হয়ে ওঠে হ্যাকারদের প্রধান অস্ত্র৷
রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস– আপনার সম্পর্ক আপনার ব্যক্তিগত বিষয়৷ তা ফেসবুকের মতো পাবলিক প্ল্যাটফর্মে না দেওয়াই ভাল৷ মেয়েদের ক্ষেত্রে বিশেষত নিজের ‘সিঙ্গল’ হওয়ার খবর একদম চাউর করবেন না৷ এতে কিছু অযাচিত ‘রোমিও’ বিরক্ত করার সুযোগ পেয়ে যেতে পারে৷
নিজের ভৌগলিক অবস্থান জানানো– কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন এই কথা সচরাচর ফেসবুকে প্রকাশ করবেন না৷ মনে রাখবেন আপনার প্রোফাইলে অনেকেরই নজর থাকতে পারে৷ আর সেই নজরদারি ভাল নাও হতে পারে৷
বাড়িতে একা থাকার কথা– বাড়িতে আপনি একা আছেন৷ এই কথা ঘুনাক্ষরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করবেন না৷ চারদিকে যেভাবে অপরাধে সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে যেকোনও সময় যেকোনও কিছু হয়ে যেতে পারে৷ এমন সময় আপনার একা থাকার কাহিনি কেন জানাতে যাবেন পুরো পৃথিবীকে?
বাচ্চাদের ছবি পোস্ট করা– বাচ্চাদের ছবি যতোই সুন্দর উঠুক তা ফেসবুকে পোস্ট করার আগে সবদিক ভাবনাচিন্তা করে নেবেন৷ জানেন, আপনার বাচ্চার ছবিগুলির কতভাবে অপব্যবহার হতে পারে? কোনও জাল খবর তৈরি কিংবা অশালীন ওয়েবসাইটেও ব্যবহার হতে পারে আপনার আদরের ছবিটি৷ তাই দেখেশুনে ছবি পোস্ট করবেন আর তাতে অবশ্যই বাচ্চার জন্মতারিখ বা স্থান লিখবেন না৷
The post ফেসবুক এইসব তথ্য দিয়ে রেখেছেন? করেছেন কী! আজই সরিয়ে ফেলুন appeared first on Sangbad Pratidin.