অর্ণব দাস, বারাকপুর: অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালের তথ্য জানতে গিয়েই প্রতারণার শিকার হলেন বারাসতের তৃতীয় লিঙ্গের এক অধ্যাপিকা। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া গিয়েছে ৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। বেসরকারি কলেজের অধ্যাপিকা বারাসত থানার সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু তদন্ত।
ওই অধ্যাপিকা নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা। গত তিন বছর ধরে তিনি বারাসতেই থাকেন। একটি বেসরকারি কলেজের অধ্যাপিকা তিনি। অস্ত্রোপচারের জন্য গত ২৮ নভেম্বর অনলাইনেই তিনি মুম্বইরের ব্রেস্ট সার্জেন্টের অ্যাপয়েনমেন্ট নিয়েছিলেন। বুকিংয়ের জন্য অপরাজিতা অনলাইনে ৫০০ টাকা পাঠান। মুম্বইয়ের ওই চিকিৎসক শ্যামবাজারের একটা বেসরকারি হাসপাতালে প্রতি মাসে একদিন করে চিকিৎসা করেন। ১ ডিসেম্বর ছিল ওই চিকিৎসকের সঙ্গে অপরাজিতার অ্যাপয়েনমেন্ট।
[আরও পড়ুন: বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন বনমন্ত্রী, ‘ঠাকুর দোষ নিও না’, কেবিনে শুয়ে প্রার্থনা বালুর]
গত ২৮ নভেম্বর অপরাজিতা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ওয়েবসাইটে গিয়ে কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করেন। নিজের কিছু তথ্যও জানান। সেদিনই অপরাজিতার কাছে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের নাম করেই তাঁকে ফোন করা হয়। চিকিৎসকের বুকিং নিশ্চিত করতে অপরাজিতার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি পেজের লিঙ্ক পাঠানো হয়।
ওই লিঙ্কে ক্লিকের কিছুক্ষণের মধ্যেই ফাঁকা অপরাজিতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। উধাও ৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। শুক্রবার বারাসত থানার সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেন। অপরাজিতা বলেন, “ডাক্তারের অ্যাপয়েনমেন্ট নিতে গিয়ে প্রতারণা চক্রের পাতা ফাঁদে পা দিই। ওদের পাঠানো লিঙ্কে ঢোকার পরই টাকা খোয়া গিয়েছে। পুলিশকে জানিয়েছি।”