শম্পালী মৌলিক: চলতি বছর সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) জন্মশতবর্ষ। প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ আগেই ঘোষণা করেছিল তারা স্পেশ্যাল কিছু করতে চায়। এক ছবিতে ফেলুদা (Feluda) ও প্রোফেসর শঙ্কুকে (Professor Shanku) আনার কথা ঘোষণাও করা হয়েছিল। দুই আইকনিক চরিত্রের দু’টি ভিন্ন গল্প নিয়ে হবে ছবিটি। পরিচালনায় স্বয়ং সত্যজিৎপুত্র সন্দীপ রায় (Sandip Ray)। তাঁর পরিচালনায় এবার ফেলুদার চরিত্রে দেখা যেতে পারে অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে (Indraneil Sengupta)।
ইন্দ্রনীল সু-অভিনেতা, হিন্দি-বাংলায় সমান তালে গত দু’দশক ধরে কাজ করে চলেছেন। বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, ঋতুপর্ণ ঘোষ, অতনু ঘোষ, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ইন্দ্রনীলের রয়েছে। মাঝে কিছুদিন তাঁকে খুব বেশি বাংলা ছবিতে না পাওয়া গেলেও, এর আগে ‘কর্কট রোগ’ ওয়েব সিরিজে পাওয়া গিয়েছিল। কাজ করেছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কাবেরী অন্তর্ধানে’ও, যে ছবি মুক্তির অপেক্ষায়। এর আগে ইন্দ্রনীলকে আমরা ‘কিরীটি’-র ভূমিকাতেও পেয়েছি। তাঁর সুঠাম, মেদহীন, দীর্ঘ চেহারা এবং বুদ্ধিদীপ্ত চোখ ফেলুদার গড়নের সঙ্গে মানাবে বইকি! এখন দেখার কানাঘুষো কতদিনে সত্যি হয়। প্যানডেমিকে কোনওকিছুই নিশ্চিত নয়, তবে ফেলুদার ভূমিকায় ইন্দ্রনীলের নির্বাচন চূড়ান্ত হয়ে গেলেও আশ্চর্যের কিছু নেই। তাঁর কেরিয়ারের জন্য মাইলস্টোন হতেই পারে ২০২১।
[আরও পড়ুন: ‘টানা বৃষ্টিতে পর্ণশ্রী হয়েছে ভেনিস, কাজপাগল মানুষরা সব ভ্যানিশ’, কটাক্ষ অপরাজিতার]
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পেয়েছিল সন্দীপ রায় পরিচালিত ‘প্রোফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো’। দর্শকের খুব ভাল লেগেছিল সেই ছবি। ফলে আন্দাজ করা যায় আবারও ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় শঙ্কুরূপে ফেরত আসবেন তাঁর নতুন ছবিতে। কিন্তু সন্দীপ রায়ের শেষ দু’টি ফেলুদা-ফিল্ম ‘ডবল ফেলুদা’ এবং ‘বাদশাহী আংটি’তে প্রদোষচন্দ্র মিত্তিরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী ও আবির চট্টোপাধ্যায়। তবে আবির আবার ‘সোনাদা’, ‘ব্যোমকেশ’ হিসেবেও দারুণভাবে সফল। তাই ফেলুদা হিসেবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের আশা তেমন নেই বললেই চলে। সব্যসাচী চক্রবর্তীরও ফেলুদা হয়ে ফেরার সম্ভাবনা প্রায় নেই। অতএব নিশ্চিতভাবেই আসবেন নতুন ফেলুদা। আর সেক্ষেত্রেই ইন্দ্রনীলের নাম শোনা যাচ্ছে।
শোনা এও গিয়েছে, ইতিমধ্যেই অভিনেতার একপ্রস্থ লুক টেস্ট হয়ে গিয়েছে। অবশ্য এবিষয়ে জানার জন্য ফোন করলে তাঁর ফোন নিরুত্তর রয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে পরিচালক সন্দীপ রায়কে যোগাযোগ করলে তিনি জানিয়েছেন, এই অতিমারী পরিস্থিতিতে কাজ এগনো মুশকিল। বলার মতো জায়গায় কিছু আসেনি। চূড়ান্ত না হলে কিছু বলা সম্ভব নয়। এখন দেখার ফেলুদা চরিত্রে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়তে কতদিন সময় লাগে।