সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউডের রোম্যান্টিক সিনেমার স্ক্রিপ্টকেও হার মানাবে রিয়েল লাইফের এই মিষ্টি প্রেমের গল্প। কিছুদিন হল বিহারের (Bihar) একটি গ্রামে নিয়মিত অন্ধকার নামছিল, বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছিল রাতে। কিছুতেই এর কারণ বুঝে উঠতে পারছিলেন না গ্রামবাসীরা। একাধিকবার স্থানীয় বিদ্যুৎদপ্তরে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত হাতনাতে ধরা পড়ে ‘অপরাধী’। দেখা যায় গ্রামেরই এক তরুণী গোপনে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করবেন বলে এলাকার বিদ্যুৎসংযোগ ছিন্ন করতেন। তারপর?
বিহারের বেত্তিয়া এলাকার পশ্চিম চম্পারনের একটি গ্রামের ঘটনা। নিয়মিত গ্রাম অন্ধকার করা অভিযুক্ত তরুণীর নাম প্রীতি কুমারী। পড়শি গ্রামের রাজকুমারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তাঁর। পরিবার, প্রতিবেশীদের লুকিয়ে যুগলে দেখা করার জন্যই এলাকার বিদ্যুৎসংযোগ কেটে দিতেন তরুণী, অভিযোগ এমনটাই। গত এক সপ্তাহ ধরে এই কাণ্ড চলছিল। কিছুতেই যার সমাধান খুঁজে পাচ্ছিলেন না গ্রামবাসীরা। এদিকে তীব্র গরমের মধ্যে বার বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় কষ্ট পাচ্ছিলেন স্থানীয়রা। বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরেও অভিযোগ জানানো হয়। তারপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
[আরও পড়ুন: সবচেয়ে বেশিদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকার রেকর্ডে জ্যোতি বসুকে টপকালেন নবীন পট্টনায়েক]
এক সন্ধ্যায় ধরে পড়ে যান তরুণী এবং তাঁর প্রেমিক। একদল জনতা তাঁদের ঘিরে ধরে জেরা করতেই তরুণী স্বীকার করেন, গোপনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করবেন বলেই গ্রামের বিদ্যুৎসংযোগ ছিন্ন করতেন তিনি। এই নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে ঝামেলা হয়। এমনকী প্রেমিক রাজকুমার প্রেমিকা প্রীতির গ্রামের বাসিন্দাদের হাতে একপ্রস্থ মারও খান। যদিও শুভসমাপ্তি হয় এই ঘটনার।
[আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা এবিভিপির, উপাচার্যকে মারধরে ২২ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে FIR]
গ্রামবাসীরাই প্রস্তাব করেন রাজকুমার-প্রীতির বিয়ে দেওয়া হোক। তাহলেই যুগলের অন্তরঙ্গ হওয়ার জন্য গোটা গ্রামকে আর অন্ধকারে থাকতে হবে না। প্রেমিকার গ্রামের বাসিন্দাদের হাতে মার খাওয়ায় বিরাগ জন্মালেও এই প্রস্তাব মেনে নেন রাজকুমার। শেষ পর্যন্ত গ্রামেরই একটি মন্দিরে উভয়ের বিবাহ সম্পন্ন হয়। না, অন্ধকার করে নয়, আনন্দের দিনে আলো ঝলমলে ছিল গোটা গ্রাম। সেই আলো রেশ ছিল রাজকুমার আর প্রীতির মুখেও।