shono
Advertisement

দুই নাতনিকে বাঁচাতে একাই হিংস্র চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই, হাসপাতালে রক্তাক্ত ঠাকুমা

প্রৌঢ়াকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চিতাবাঘটি।
Posted: 04:40 PM Jun 24, 2023Updated: 04:46 PM Jun 24, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্নেহ নিম্নগামী! প্রাণের চেয়ে প্রিয় দুই নাতনিকে বাঁচাতে জীবন বাজি রাখলেন প্রৌঢ়া ঠাকুমা। হিংস্র চিতাবাঘ (Leopard) আর নাতনিদের মাঝখানে ঢাল হয়ে দাঁড়ান তিনি। ফলে প্রাণে বেঁচে গেলেও ফলে গুরুতর জখম হন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) একটি গ্রামের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Advertisement

তেহরি জেলার আবকি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে গত সপ্তাহে। বুধবার রাতে জঙ্গল লাগোয়া ওই গ্রামে হানা দেয় একটি পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘ। সেই সময় বাড়ির বারান্দায় চার বছরের দুই নাতনি বৈষ্ণবী এবং রিয়াংশীকে নিয়ে বসেছিলেন ৫৮ বছরের চন্দ্রমা দেবী। আচমকা সেখানেই হাজির হয় বুনো প্রাণী। তাকে দেখে ভয় পেলেও নাতনিদের আগলে দাঁড়ান প্রৌঢ়া। তখনই বাঘটি চন্দ্রমার উপরে লাফিয়ে পড়ে। তাঁকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দুই শিশুর চিৎকারে বিপদের গন্ধ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের তাড়া খেয়ে পালায় চিতাবাঘটি।

[আরও পড়ুন: ‘একজন মানুষের কতজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর দরকার?’ অশ্বিনের ‘বন্ধু নয় সতীর্থ’ মন্তব্যের পালটা দিলেন শাস্ত্রী]

যদিও ততক্ষণ গুরুতর জখম হয়েছেন প্রৌঢ়া। দ্রুত তাঁকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয়। সেখান থেকে দেরাদুনের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাহসী চন্দ্রমা ভাল আছেন। আঘাত সবচেয়ে বেশি মুখে। সাতটি সেলাই পড়েছে। ঠাকুমা ভাল আছে জেনে ভীষণ খুশি দুই নাতনি।

[আরও পড়ুন: রোহিত নন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে এই অলরাউন্ডারকে ক্যাপ্টেন চেয়েছিলেন ভাজ্জি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার