সুকুমার সরকার, ঢাকা: যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ায় কড়া শাস্তির মুখে বাংলাদেশ (Bangladesh) হাইকমিশনের এক আধিকারিক। অভিযোগ পেয়ে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হতেই তাঁকে ঢাকা ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতে কর্মরত কোনও বাংলাদেশি কূটনীতিকের (Diplomat) ক্ষেত্রে এই ঘটনা একেবারেই প্রথম বলে জানা গেল দূতাবাস সূত্রে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে হইহই পড়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মহম্মদ সানিউল কাদের। ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত অবস্থায় তিনি এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। এরপর উভয়ের সেক্স চ্যাট, ভিডিও – এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যায়। জানুয়ারির ২৫ তারিখ এই বিষয়টি ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ দূতাবাস। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরুর পাশাপাশি সঙ্গে সঙ্গে ফেরত পাঠানো হয় ঢাকায় (Dhaka)। সেখানে সানিউল কাদের নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাবেন। এই খবর নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি হাই কমিশনার তৌফিক হাসান।
[আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ইটালি পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা, প্রবল ঠান্ডায় মাঝ সমুদ্রে প্রাণ গেল ৭ বাংলাদেশি]
দিল্লির দূতাবাস সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদ সানিউল যে ধরনের কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন, তা ‘জিরো টলারেন্স’ (Zero Tolerance) বা ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতিতে বিশ্বাসী বাংলাদেশ। ফলে কোনওরকম শৃঙ্খলাভঙ্গ বরদাস্ত করা হবে না। তাই ২৫ তারিখ ভিডিও, চ্যাট ভাইরাল হওয়ার পর ২৬ তারিখই সানিউলকে ঢাকায় তলব করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় (Departmental Enquiry) তদন্ত শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে জাপান, ২ মিলিয়ন ডলার সাহায্য ঘোষণা]
ভারতে কর্মরত কোনও বাংলাদেশি কূটনীতিকের এহেন কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর ঘটনা এই প্রথম। এর আগে এভাবে কারও যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রে খবর। ফলে এ নিয়ে বেশ শোরগোল তৈরি হয়েছে। মহম্মদ সানিউলের দোষ প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলে জোর গুঞ্জন।