সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণে নয়, অনন্তকাল যাবৎ পাপিদের পাপ ধুতে ধুতেই ময়লা হয়েছে গঙ্গা! বলি ছবির বিখ্যাত গানের এহেন বক্তব্যের সঙ্গে খুব অমিল নেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাসের। অনেকেই গঙ্গায় ডুব দিয়ে পাপমুক্ত হতে বারাণসী কিংবা হরিদ্বারে পাড়ি দেন। তাই বলে পাপমুক্তিরও সার্টিফিকেট? ভূভারতেরই একটি মন্দিরে বাস্তাবিক মাত্র ১২ টাকায় এই শংসাপত্র মিলছে। তবে তার আগে ওই মন্দিরের পবিত্র কুণ্ড বা পুকুরে ডুব দিতে হবে আপনাকে। কোথায় রয়েছে এমন মন্দির?
দক্ষিণ রাজস্থানের (Rajasthan) প্রতাপগড় জেলার রয়েছে মন্দিরটি। জয়পুর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গৌতমেশ্বর মহাদেব মন্দির। যাকে মরুরাজ্যে অন্যতম জাগ্রত মন্দির বলেই মান্য করা হয়। সেখানেই মাত্র ১২ টাকার বিনিময়ে পেতে পারেন ‘পাপমুক্তি সার্টিফিকেট’। মন্দিরের কর্তৃপক্ষের দাবি, পবিত্র মন্দাকিনী কুণ্ডে ডুব দিলেই ধুলোবালির মতোই সাফ হবে পাপ।
[আরও পড়ুন: জন্মদিনে নতুন জন্ম শাহরুখের, ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ পোশাক ছেড়ে ‘ডাঙ্কি’তে বাদশার কোন অবতার?]
মন্দির ট্রাস্ট যে শংসাপত্র দেয় তা রাজস্থান সরকারের ‘দেবস্থান দপ্তরে’র অন্তর্গত বলেই জানা গিয়েছে। এর ফলেই পাপমুক্তির সার্টিফিকেট নিয়ে বিতর্ক দানা বেধেছে। আরও জানা গিয়েছে, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে প্রতি বছর ২৫০-৩০০ জনকে এই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। কোনও ব্যক্তির কাছে ওই শংসাপত্র থাকার অর্থ, তিনি আগে যাই করুন, বর্তমানে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত।
‘মন্দাকিনী কুণ্ডে’ যদি কেউ ডুব দেন, তবে সেই খবর জানানো হয় গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যদের। এর পর পাপের দায়ে একঘরে হওয়া ব্যক্তিকে ফেরানো হয় সমাজে। ১২ টাকার শংসাপত্র স্বাক্ষর করেন সরকারি আমিন। গৌতমেশ্বর মহাদেব মন্দিরে এমন রেওয়াজ কীভাবে শুরু হল?
[আরও পড়ুন: মণিপুরে ফের অস্ত্রাগার লুন্ঠনের চেষ্টা, মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের বাংলোর কাছেই অরাজকতা]
গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য উদয় লাল মিনা জানান, এর সঙ্গে জড়িত মহাঋষি গৌতমের এক কাহিনি। ওই কাহিনি অনুযায়ী, গোহত্যার মতো মহাপাপ করেছিলেন মহাঋষি। এর পর এই মন্দির সংলগ্ন কুণ্ডে স্নান করেই পাপমুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ওই স্থানেই গড়ে ওঠে গৌতমেশ্বর মন্দির। সেই থেকে কুণ্ডে স্নান করে পাপমুক্ত হওয়ার চল ভক্তদের মধ্যে।