সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস খানেকও হয়নি অস্ট্রেলিয়ার (Australia) সমুদ্র সৈকতে আটকে পড়ে ২০০টি পাইলট প্রজাতির তিমির (Pilot Whales) মৃত্যু হয়েছিল। ফের সমুদ্র উপকূলে তিমির মৃত্যুমিছিল! এবার মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী হল নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) একটি সমুদ্র তীর। সেখানে উদ্ধার হল ৫০০টি পাইলট প্রজাতির তিমির নিথর দেহ। খবর পাওয়ামাত্র উদ্ধারের চেষ্টা হলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। ওই চত্বরের জলে হাঙরের দাপটে উদ্ধারকাজ স্থগিত হয়।
নিউজিল্যান্ডের প্রান্তিক উপকূলে ৫০০ তিমির দেহ উদ্ধার হওয়ায় সমস্যায় পড়ে স্থানীয় প্রশাসন। সরকারের সমুদ্র উপকূল উপদেষ্টা ডেভ ল্যান্ডকুইস্ট বলেন, “ওই এলাকায় মানুষ এবং তিমি উভয়ের জন্য হাঙরের আক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। ফলে বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রশিক্ষিত দল শেষ পর্যন্ত তিমিদের দুর্ভোগ কমাতে সক্ষম হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “উদ্ধারে নামতে না পারার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল। কিন্তু আমাদের সেটাই করতে হয়েছে।” জানা গিয়েছে, সমুদ্র তীরে তিমিগুলির দেহ ফেলে রাখা হয়েছে, যাতে করে তাতে স্বাভাবিক পচন ধরে এবং তা প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যায়।
[আরও পড়ুন: দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়! উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব CJI ললিতের]
গত ২২ সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলে আটকে পড়েছিল ২৩০টি পাইলট প্রজাতির তিমি। তাসমানিয়া প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, এর মধ্যে ৩৫টি তিমিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। ওই তিমিগুলিকে গভীর সমুদ্র ছেড়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ মোট ১৯৫টি তিমি মারা গিয়েছে। প্রাণী উদ্ধারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রেনডন ক্লার্ক বলেন, “আমরা সৈকত থেকে প্রায় ৩৫টি জীবিত প্রাণী উদ্ধার করতে পেরেছি। আমাদের কাজ হল প্রাণীগুলিকে উদ্ধার করা ও তাদেরকে সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া।”
[আরও পড়ুন: পরপর দু’দিন দেশের করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত দু’হাজারেরও কম]
বছর দুয়েক আগে ম্যাককোয়ারি উপকূলে ৫০০ তিমি উঠে এসেছিল। সেবার অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী প্রাণীগুলিকে বাঁচানোর চেষ্টায় নেমেছিল সৈকতে। এরপরেও ৩০০টি তিমির মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপের একটি সমুদ্রসৈকতে প্রায় ৭০০ তিমি উঠে এসেছিল। এর মধ্যে ২৫০টির মৃত্যু হয়। নিউজিল্যান্ডের পূর্ব উপকূলে সবচেয়ে তিমির দেহ উদ্ধার হয় ১৯১৮ সালে। সেবার ১০০০টি মৃত তিমির দেহ উদ্ধার হয় সৈকত থেকে।