সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিযোগ বড়সড়। গ্রাহকের দুই বিলিয়ন ডলার প্রতারণা করেছে অভিযুক্ত। তথাপি যে সাজা দেওয়া হয়েছে তুরস্কে ক্রিপ্টো কারেন্সির প্রতিষ্ঠাতাকে (Turkish Crypto Founder), তা এককথায় নজিরবিহীন। আলবেনিয়ায় পালিয়ে যাওয়া ওই ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার ১৯৬ বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে দেশের আদালত। একই সাজা দেওয়া হয়েছে তাঁর দুই ভাইকেও। শুক্রবার চমকে দেওয়া কারাদণ্ডের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।
২৯ বছরের ফারুক ফাতিহ ওজের তুরস্কে (Turkey) ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থপাচার, জালিয়াতি ও অপরাধমূলক সংগঠনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। অপরাধের দায়ে বিপক্ষের কৌশলী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে ৪০ হাজার ৫৬২ বছরের সাজার আবেদন করেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত বিচারক তাঁকে ১১ হাজার ১৯৬ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায়।
[আরও পড়ুন: G-20: প্রাচীন ভারতের সুরলহরীতে অতিথি আপ্যায়ন, রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে বিশেষ আয়োজন]
যদিও শুনানিতে ফারুক দাবি করেন, যদি তিনি কোনও অপরাধ সংগঠন করতেন তাহলে এমন অপেশাদার আচরণ করতেন না। যদিও বিপক্ষের আইনজীবীর দাবি, ফারুক ২০২১ সালের এপ্রিলে তুরস্ক থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবহারকারীদের সম্পদের ২৫০ মিলিয়ন লিরা (প্রায় ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) তিনটি গোপন অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলেন। এই কাজে সহযোগী ছিলেন তাঁর দুই ভাই সেরাপ ও গুভেন। এই কারণে তাঁদেরকেও এক সাজা শুনিয়েছে আদালত।
[আরও পড়ুন: G-20: যৌথ ঘোষণাপত্রে ‘পরমাণু হুমকি’র নিন্দা, ইউক্রেন যুদ্ধে আরও চাপে রাশিয়া?]
একটি বিষয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে, মানুষের ৭০-৮০ বছরের জীবনে ১১ হাজার বছর জেল খাটা কখনই সম্ভব না। তাহলে কীসের ভিত্তিতে এমন সাজা দিলেন বিচারক। আসলে অপরাধের মাত্রা বোঝাতেই দোষীকে এমন শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। আদতে যা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত হবে।