সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলে যায়। বদল আসে পোশাক থেকে সাজগোজে। তবে মেয়েদের শরীরে পশম থাকা নিয়ে আগের মতোই ঘোর আপত্তি রয়েছে সমাজের অধিকাংশ মানুষের। তবে, কিছু মানুষ অন্য জাতের হন। নিজের শর্তে বাঁচেন। তেমন ব্যক্তিত্বময়ী নারী এসথার ক্যালিক্সটে-বিয়া (Esther Calixte-Bea)। বুকে পশম থাকলেও লোকাতে রাজি নন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, নিজেকে নিয়ে গর্বিত। বরং বদলে দিতে চান ধরা-বাঁধা নারী সৌন্দর্য্যের সংজ্ঞা।
বস্তুত নারী সৌন্দর্য্যের সামাজিক ধারণাকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন এসথার ক্যালিক্সটে-বিয়া। কানাডার (Canada) নাগরিক ২৫ বছরের তরুণী পেশায় ভিজুয়াল আর্টিস্ট। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বোমা ফাটান তিনি। দীর্ঘদিন যে বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন, একজন নারী হয়েও শরীর ভরতি পশম ছিল তাঁর, এমনকী বুকেও, সেই বিষয়েই সোজসাপটা কথা বলেছেন সম্প্রতি। যার পর তাঁকে নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)।
[আরও পড়ুন: দখলদার ভাড়াটে, নিজেদের ফ্ল্যাটে ঢুকতে না পেরে সিঁড়িতে ১০ দিন কাটালেন বৃদ্ধ দম্পতি]
সম্প্রতি বুকের উপরের অংশ খোলা, এমন জামা পরা একটি ছবি পোস্ট করেন বিয়া। সঙ্গে লেখেন, “আমার চারপাশের অন্য মেয়েদের মতোই স্বাভাবিক হতে চাই। আমিও নিজেকে সুন্দর ভাবতে চাই। কারণ আমি একজন আশাবাদী মহিলা।” আরও জানান, দীর্ঘদিন বুকে লোম থাকা নিয়ে কষ্ট পেয়েছেন। “একদিন বুঝতে পারি, যথেষ্ট ঘৃণা করা হয়েছে নিজেকে, একটা সময় দিনের পর দিন কেঁদে ভাসিয়েছি। যত বেশি করে শরীর থেকে পশম তুলে ফেলার চেষ্টা করেছি, তত বেশি পশমে ভরে উঠছে শরীর। ভয়ংকর যন্ত্রণায় বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম।”
[আরও পড়ুন: আচমকা আম্বানির মতো ধনী! শ্রমিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকল প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা]
এখন অন্য মেয়েদের মতো সাহসী বুক খোলা পোশাক পরেন বিয়া। এমনকী নারী সৌন্দর্যকে নয়া সংজ্ঞা দিতে শুরু করেছেন ‘কুইন এসিস ল্যাভেন্ডার ক্যাম্পেন’। উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ার ছবিতে ল্যাভেন্ডার রঙের পোশাকেই দেখা গিয়েছে বিয়াকে। তরুণী বিয়া বলেন, “মেয়েদের শরীরে পশম থাকা সুন্দর হতেই পারে। একজন মেয়ের পায়ে, হাতে, পিঠে, বুকে পশম থাকতেই পারে। আমি সাধারণ ধারণাকে ভেঙে দিতে চাই।”