সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মাসে অন্তর্বাস খুলে মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা (National Eligibility Entrance Test) দিতে বাধ্য করা হয়েছিল কেরলের (Kerala) একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের একদল ছাত্রীকে। ওই ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় হয়েছিল। যে সব পরীক্ষার্থীকে অন্তর্বাস খুলতে বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ, এবার নতুন করে তাঁদের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (National Testing Agency) তরফে।
অনভিপ্রেত ওই ঘটনা ঘটে গত জুলাই মাসে। মাঝে কেটে গিয়েছে এক মাসেরও বেশি সময়। এতদিনে NTA সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী ৪ সেপ্টেম্বরে ওই পরীক্ষার্থীরা নতুন করে পরীক্ষা দিতে পারবেন। ইতিমধ্যে ইমেল করে এই বিষয়ে পরীক্ষার্থীদের জানানো হয়েছে বলেও NTA সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: মাদক খাইয়ে খুন সোনালি ফোগাটকে? ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই গ্রেপ্তার গোয়ার রেস্তরাঁ মালিক ও মাদক কারবারি]
কেরলের কোল্লাম (Kollam) জেলার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছিল গত ১৭ জুলাইয়ে। এক ছাত্রীর বাবা পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে তাঁর মেয়ে ও আরও কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করে কোল্লাম জেলার ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা। জানানো হয়, অন্তর্বাসে ধাতব হুক রয়েছে। যদিও অন্তর্বাস খোলা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা ছিল না NTA-এর তরফে। তবে পরীক্ষাকেন্দ্রে মানিব্যাগ, হাতব্যাগ, বেল্ট, টুপি, গয়না, হাই হিল জুতো নিষিদ্ধ করা ছিল। এরপরেও অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হলে ছাত্রীরা আপত্তি জানান। উত্তরে নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়ে দেন, সেক্ষেত্রে তিনি প্রবেশিকা দিতে পারবেন না। এই অবস্থায়, বাধ্য হয়ে অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা দেন পরীক্ষার্থীরা। যা নিয়ে কেরল-সহ গোটা দেশে শোরগোল পড়ে যায়।
[আরও পড়ুন: ‘আমরা ওকে জোর করব’, রাহুলকে কংগ্রেস সভাপতি পদে ফেরাতে মরিয়া খাড়গেরা]
যদিও যে পরীক্ষাকেন্দ্রের ঘটনা, সেই মারথোমা ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। যার পর সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে কলেজের দুই কর্মীও রয়েছেন। গোটা ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। এবার সেদিনের ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়া ছাত্রীদের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল NTA-এর তরফে। ভুক্তভোগী ছাত্রীরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।