নিজস্ব সংবাদদাতা, আগরতলা: শুক্রবার প্রদেশ কার্যালয়ে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাসের উপস্থিতিতে সূর্যমণিগর, প্রতাপগড় ও টাউন বড়দোয়ালি থেকে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ছেড়ে ৬,৭৬৬ জন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। এদিন উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ত্রিপুরা সফরকে কটাক্ষ করে পীযূষকান্তি বিশ্বাস বলেছেন, “২০১৮ সালের মতো শাহ ফের রাজ্যে এসে মিথ্যা কথা বলেছেন। যেমন উনি বলেছেন যে, সপ্তম পে কমিশন নাকি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কর্মচারীদের তা দেওয়া হয়নি। তারপর বলেছিলেন, বছরে ৫০,০০০ চাকরি হবে। সেটাও হয়নি। ২০১৮ সালে উনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, রেগার ভাতা ৩৪০ টাকা করবেন, সেটাও পূরণ হয়নি। বিজেপির শাসনে একটা শিল্প রাজ্যে গড়ে ওঠেনি, এবং যেগুলো ছিল সেগুলো বিজেপির নেতাদের চাপে রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘আমি ঈশ্বরের পত্নী’, দাবি করতেই যুবতীর চুল ধরে টেনে মন্দিরের বাইরে ফেললেন পুরোহিত]
তিনি আরও বলেন, “জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া, গরিব মানুষ দিশাহারা। তার পর গ্যাস, কেরোসিন, পেট্রোল, ডিজেল সবগুলোর দাম বিজেপি আমলে বেড়ে গিয়েছে। উনি বলেছেন যে, ত্রিপুরা রাজ্যে পানীয় জলের সমস্যা মিটে গিয়েছে। কিন্তু প্রত্যেক দিন পত্রপত্রিকায় আমরা দেখতে পাচ্ছি, পানীয় জলের দাবিতে মানুষ রাস্তা অবরোধ করছেন। এই রাজ্যে ৯ লক্ষ বেকার, তা নিয়ে উনি একটাও কথা বলেননি।”
তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেছেন, “বিজেপি (BJP) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তারা প্রত্যেক বাড়িতে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৪৪ শতাংশ পরিবার পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় তাদের টার্গেট ছিল ৪০০ কিমি পাকা রাস্তা কিন্তু তারা করেছে ৭৭.৫৬৩ কিমি রাস্তা, যেটা ২০ শতাংশের কম। জনজাতি এলাকায় ৭০ শতাংশ পরিবারের কাছে গ্যাসের সুবিধা নেই। ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ জানে যে বিজেপি তাদের কীভাবে মিথ্যা কথা বলেছে।”