সুমন করাতি, হুগলি: রাস্তার কুকুরদের অপহরণের চেষ্টা! এমনই অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী হুগলির পোলবা। যদিও অপহরণের আগেই সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পশুপ্রেমীদের অভিযোগ, খারাপ কোনও উদ্দেশেই তাদের অপহরণের চেষ্টা চলছিল। ভালোভাবে তদন্ত করা হোক, এই আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির পোলবা থানার রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ব্যান্ডেল পোলবা ৩৯ নং রোড। তার পাশে এক জলট্যাঙ্কের কাছে কয়েকটি পথ কুকুর থাকে। সোমবার তিন ব্যক্তিকে দেখা যায়, ওই পথকুকুরদের বিস্কুট খেতে দিচ্ছিলেন। বিস্কুট খাওয়ানোর পর ওই কুকুরদের একটি বড় গাড়িতে তোলা হচ্ছিল। তা চোখে পড়ে স্থানীয়দের। তাঁরা ওই তিনজনকে জিজ্ঞেস করেন, কেন তাদের গাড়ি তোলা হচ্ছে? তার কোনও উত্তর দিতে না পারায় সন্দেহ হয় তাঁদের।
এই গাড়িতে তুলে কুকুরদের চেষ্টা চলছিল বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
এর পর ওই তিনজনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পোলবা থানার পুলিশ গিয়ে গাড়ি সমেত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তিনটি কুকুরকেও থানায় নিয়ে যায়। ধৃতদের নাম সঞ্জীব মণ্ডল, বয়স ৩৩ বছর। বাড়ি চুঁচুড়ার রবীন্দ্র নগরে। বাকি দুজনের নাম গোপালচন্দ্র কর্মকার ও ঝুনু দাস। একজনের বাড়ি চুঁচুড়ার দক্ষিণপাড়া দ্বিতীয় লেনে, অপরজনের বাড়ি উত্তর সিমলা। কী উদ্দেশে পথকুকুর ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিন ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়।
পশুপ্রেমী চন্দন ক্লেমেন্ট সিং বলেন, ''পথকুকুর যখন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বা অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকে, তখন কেউ এগিয়ে আসে না সাহায্যের জন্য। রাস্তা থেকে গাড়ি করে কুকুর তুলে নিয়ে যাওয়া খারাপ উদ্দেশ্যে বলেই মনে হয়। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।'' প্রসঙ্গত কয়েকমাস আগে রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের গান্ধিগ্রামে বেশ কয়েকটি কুকুরের মৃত্যু হয়েছিল হঠাৎই। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল পুলিশের তরফে।