সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরনো সংসদে হামলার পাশাপাশি নয়া ভবনে অনাহুত অতিথি, ‘গণতন্ত্রের মন্দির’-এ নিরাপত্তার গলদ বহুবার দেখেছে দেশ। আরও একবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদে ঢোকার চেষ্টায় ধরা পড়ে গেল ৩ যুবক। তাদের গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে সিআইএসএফ।
সূত্রের খবর, কাশিম, মনিশ এবং সোয়েব নামের ওই তিন যুবক সংসদ চত্বরে নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করত। বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের রুটিন পরিচয়পত্র যাচাই পর্বে ওই তিন যুবকের পরিচয়পত্র দেখে সন্দেহ হয় সিআইএসএফ জওয়ানদের। যাচাই করে দেখা যায়, ওই তিন যুবকই ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সংসদ চত্বরে কাজ করছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ভেঙে গেল ইন্ডিয়া জোট? দিল্লি বিধানসভায় ‘একলা চলো’ নীতি আপের]
ঠিক কী উদ্দেশে ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে সংসদে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল ওই তিন যুবক? নেপথ্যে কি বড় ষড়যন্ত্র? ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে আপাতত ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে মূলত প্রতারণা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দুই নির্দলের যোগদানে লোকসভায় সেঞ্চুরি কংগ্রেসের! শক্তিবৃদ্ধি ইন্ডিয়া জোটের]
উল্লেখ্য, গত ৩ মে সংসদ ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছিল সিআইএসএফের হাতে। নিরাপত্তায় রদবদলের মূল কারণ ছিল গত ১৩ ডিসেম্বরে সংসদে হামলার ঘটনা। ওই দিন অধিবেশন চলাকালীন অজ্ঞাত পরিচয় দুই যুবক সংসদে ঢোকে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সংসদের ব্যালকনি থেকে লাফিয়ে নিচে নামে তাঁরা। জুতোর নিচ থেকে বের করা হয় স্মোক বোম। রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় সংসদের অন্দরে। এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে। তার পরই নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় সিআইএসএফের হাতে। সেই সিআইএসএফই পাকড়াও করল ভুয়ো পরিচয়পত্রের যুবকদের।