শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: চিতাবাঘের পর এবার উদ্ধার হল তিনটি বাইসনের (Bison) দেহ। ডুয়ার্সের হলদিবাড়ি চা বাগান লাগোয়া এলাকা থেকে তাদের দেহটি উদ্ধার হয়। বনদপ্তরের প্রাথমিক অনুমান, বজ্রাঘাতে বাইসনগুলির মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আপাতত কিছুই বলা সম্ভব নয়।
বনদপ্তর সূত্রে খবর, বুধবার সকালবেলা চা বাগানের বাসিন্দারাই তিনটি বাইসনকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। মরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জার রাজকুমার পাল বলেন, “চা বাগানের তরফে আমাদের কাছে খবর আসে। হলদিবাড়ি এবং মরাঘাট জঙ্গলের মাঝে একটি ফাঁকা জায়গার মধ্যে তিনটি বাইসন মৃত অবস্থায় পড়েছিল। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু’টি শাবক এবং একটি মা বাইসনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। বাইসনগুলি প্রায় একই জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল। তাদের মৃত্যুর কারণ এখনও পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। বাইসনগুলির দেহ খট্টিমারি জঙ্গলে ময়নাতদন্ত করা হবে।” বনদপ্তরের প্রাথমিক অনুমান, বজ্রাঘাতে বাইসনগুলির মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আপাতত কিছুই বলা সম্ভব নয়।
[আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি যেন শিল্পপতিদের বিরক্ত না করে’, রাজ্যপালের কাছে আরজি মুখ্যমন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের ডায়না চা বাগানে কাজে গিয়েছিলেন শ্রমিকরা। সেই সময় তিন নম্বর সেকশনের নিকাশি নালায় চিতাবাঘটিকে (Leopard) পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডে। ঘটনাস্থলে গিয়ে বনকর্মীরা চিতাবাঘের দেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বেশ কয়েকদিন আগেই চিতাবাঘটির মৃত্যু হয়েছে। তবে শরীরে চোট, আঘাতের চিহ্ন নেই। বনদপ্তরের আধিকারিকদের অনুমান, বিষক্রিয়ায় চিতাবাঘটির মৃত্যু হতে পারে। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ডুয়ার্সের তোতাপাড়া-জালাপাড়াগামী রাস্তায় একটি চিতাবাঘের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন চা বাগানের শ্রমিকরা।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ডুয়ার্সের হলদিবাড়ি চা বাগান লাগোয়া এলাকা থেকে তিনটি বাইসনের দেহ উদ্ধার করা হয়। কীভাবে বাইসনগুলির মৃত্যু হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বনদপ্তর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।