অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়: এবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়লেন উত্তরবঙ্গের তিন বিজেপি বিধায়ক (BJP MP)। এর আগে বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে নিরাপত্তা ছেড়েছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। ইতিমধ্যেই একাধিক প্রার্থীর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে এই তিন বিধায়কের নিরাপত্তা ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।
বিষয়টা ঠিক কী? ভোটের আগেই শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধায়ক জানিয়েছিলেন জয়লাভ করলেও নিরাপত্তা ব্যবহার করবেন না তিনি। কারণ, স্কুটিতে ঘোরাফেরা করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তিনি। এদিকে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ (Anandamay Barman) ও ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাঁরা যে এলাকার বিধায়ক। সেখানকার অধিকাংশ মানুষই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া। নিরাপত্তা নিয়ে সেই এলাকায় গেলে বাসিন্দারা ভয় পাবেন। তাঁরা সমস্যার কথা জানাতেই ভয় পাবেন। সেই কারণেই নিরাপত্তা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় ‘দুয়ারে টিকা’, সুপার স্প্রেডারদের করোনা ভ্যাকসিন দিতে দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে গাড়ি]
উল্লেখ্য, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপিতে রয়েছেন। এর আগেও ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে জয়লাভ করেননি। এবারই প্রথম জয়ের মুকুট উঠেছে তাঁর মাথায়। শিলিগুড়ির বিধায়ক দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর সিপিএমের সঙ্গেই জড়িত ছিলেন। অশোক ভট্টাচার্যের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। একুশের নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। অশোক ভট্টাচার্যকে পরাজিত করে শিলিগুড়ি আসনে জয়ী হন তিনি। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন তৃণমূলে ছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।