শেখর চন্দ্র, আসানসোল: প্রায় ২০ ঘন্টার চেষ্টাতেও হল না শেষরক্ষা। এক এক করে উদ্ধার হল ছাই চাপা পড়া তিন শ্রমিকের দেহ। শনিবার রাত এগারোটা নাগাদ তাঁদের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তিন শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনায় প্রশ্নের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
শনিবার রানিগঞ্জের (Raniganj) মঙ্গলপুরে স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় জমা করা ফ্লাই অ্যাশ স্টোরেজ ট্যাংক বা ছাই ভরতি চৌবাচ্চাটি ভেঙে পড়ে। সেই সময় কাজ করছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। শ্রমিকদের একাংশের দাবি, তিনজন নিচে চাপা পড়ে যান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। উদ্ধারকাজ শুরু করেন তাঁরা। ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ কারখানায় যায়। পরে দমকল কর্মীরা সেখানে পৌঁছন। দমকলকর্মীদের উপস্থিতিতে ক্রেন ও জেসিপি দিয়ে কনটেইনারের ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: কেপমারকে ধরতে গিয়ে লুটেরাদের পাল্লায় জ্যোতিষী, খাস কলকাতায় খোয়ালেন সর্বস্ব]
এরপর সন্ধেবেলা ওই সংস্থারই জামুরিয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের তেলের ড্রাম ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটল। একই দিনে সংস্থার দুই কারখানার জোড়া দুর্ঘটনায় যথারীতি প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ। তারই মাঝে প্রায় ২০ ঘন্টা পর রাত এগারোটা নাগাদ রানিগঞ্জের বল্লভপুরের বাসিন্দা তন্ময় ঘোষ, অন্ডালের হরিশপুরের বাসিন্দা দিলীপ গোপ এবং বাঁকুড়ার পলাশডাঙার বাসিন্দা শিবশংকর ভট্টাচার্যের দেহ উদ্ধার হয়।
বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, তাপস বন্দোপাধ্যায় ও অভিজিৎ ঘটক এই ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। পাশাপাশি তাঁরা নিহত কর্মীদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দাবি জানান। নিহতদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার দাবিও জানান তিনি। একই দাবি কারখানার অন্য কর্মীদের তরফেও করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায় কথা বলেন।