কল্যাণ চন্দ ও রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যের দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফলে বিজেপি (BJP) ডাহা ফেল করেছে। আসানসোল কেন্দ্রটিও বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল (TMC)। আর তারপর বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিজেপি রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ। পদত্যাগ করলেন রাজ্য কমিটির আরও দুই সদস্য। এই তালিকায় রয়েছেন বহরমপুরের বিধায়ক কাঞ্চন মৈত্র। পদত্যাগী আরেক সদস্য বাণী গঙ্গোপাধ্যায়।
রবিবার বহরমপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে গৌরীশংকর ঘোষ জানান, জেলা মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের জন্য ৫১ জনের নাম পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ, তাতে ১৮ জনের নাম বাদ দিয়ে বিজেপি জেলা সভাপতি নিজের ইচ্ছেমতো লোকদের ঢুকিয়েছেন, যাঁরা অযোগ্য। ওই ঘটনা বারবার রাজ্য নেতৃত্বকে বলা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। সে কারণে বিরক্ত হয়ে তিনি রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মাঝেই ভারত সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, নজরে দু’দেশের সম্পর্ক]
বিজেপিকে টিকিয়ে রাখতে আলাদা সংগঠন করবেন জেলায়, এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ। তবে পদ ছাড়লেও তিনি গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে বহরমপুর বিধানসভার বিধায়ক কাঞ্চন মৈত্র সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ”জেলা বিজেপি সভাপতি তুঘলকি আচরণ করছেন। নিজের ইচ্ছামত চলছেন। তার ফল ভুগতে হচ্ছে বিভিন্ন নির্বাচনে। সে কারণে রাজ্য কমিটির সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।” পদত্যাগ করেছেন রাজ্য কমিটির আরেক সদস্য বাণী গঙ্গোপাধ্যায়ও। তাঁদের এই পদক্ষেপ নিয়ে অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি জেলা বিজেপি।
[আরও পড়ুন: স্বামী জেলে, বসিরহাটে পরপুরুষের সঙ্গে লিভ ইন নৃত্যশিল্পীর, পরিণতি মর্মান্তিক]
এদিকে, মুর্শিদাবাদের তিনজনের একসঙ্গে পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। ফেসবুকে পোস্টে তাঁর মত, এসব বিষয় এখনই দলের ভালভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করা উচিত।