অর্ণব আইচ: পুরভোটের (Kolkata Municipal Election) ঠিক আগে ফের কলকাতা থেকে ভুয়ো নথি, জালনোট উদ্ধার। একগুচ্ছ ভুয়ো নথিপত্র-সহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হল মোট জন। এদের মধ্যে একজনকে সিঁথি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর বাকি তিনজনের ডেরা মিলেছে হাওড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই তিনজনের আবার যোগসাজশ ছিল আনন্দপুরে অবৈধ বাংলাদেশি (Bangaldeshi) বাসিন্দা পাচারচক্রের অন্যতম মূল পান্ডা মাহফজুর রহমানের। ফলে এই তিনজনের গ্রেপ্তারি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও খানিকটা সাহায্য করবে বলে আশাবাদী পুলিশ মহল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়ার (Howrah) জিটি রোডে একটি দোকানের খোঁজ পায় পুলিশ। যেখানে আনন্দপুরের গুলশন বসতি থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের উদ্ধারের ঘটনার মূল পান্ডা মাহফজুর রহমানের যোগাযোগ আছে। তাই ওই মামলার তদন্তেই সেই ডেরায় হানা দেয় পুলিশ। একটি দোকানের আড়ালে বিশ্বজিৎ দে, সঞ্জীব দাস, ভরত সিং – এই তিনজনকে অবৈধ কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের কাছ থেকে প্রচুর অবৈধ নথিও উদ্ধার হয়েছে। মাহফজুরের সঙ্গে এদের যোগসাজশ থাকায় আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদের আজ আদালতে পেশ করা হবে।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি কলকাতার পুজো উদ্যোক্তারা, চলছে সেলিব্রেশনের প্রস্তুতি]
অন্যদিকে, সিঁথির (Sinthi) মণ্ডলপাড়া থেকে প্রচুর জাল নথি-সহ বিশ্বজিৎ দে নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তার কাছ থেকে প্রচুর আধার কার্ড এবং আধার কার্ড ও পাসপোর্ট তৈরির জন্য ভুয়ো নথিপত্র মিলেছে। কী কারণে এত সব নথিপত্র সে জমা করছিল, তার তদন্তে নেমেছেন তদন্তকারীরা। মনে করা হচ্ছে, জাল আধার তৈরি করে অবৈধ কাজকর্মে অন্যদের শামিল করাই উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজিতের। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্তত ৭টি ধারায় এবং ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: KMC Election 2021: কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, বিজেপির আরজি খারিজ করে নির্দেশ হাই কোর্টের]
পুরভোটের আগে শহরে জালনোট (Fake currency) উদ্ধারেও গ্রেপ্তার হয়েছে ২ জন। ধর্মতলা লাগোয়া ডাফরিন রোড থেকে আরিফ মনসুরি ও আবুতালহা নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। সূত্রের খবর, তাদের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। সবই ছিল ৫০০ টাকা নোট। ২ জনই রাজস্থানের কোটার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ভোটের আগেই এসব একাধিক ঘটনায় শহরজুড়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে পুলিশের তরফে।