সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ফ্রান্স (France)। এবার বন্দুকবাজের গুলিতে নিহত হয়েছেন তিন পুলিশ অফিসার। আহত আরও এক। হামলাকারী বছর আটচল্লিশের এক পুরুষ বলে জানা গিয়েছে। এখনও তাকে পাকড়াও করা যায়নি।
[আরও পড়ুন: ‘বহুরূপী’ কোভিডের কোপ, বাতিল হতে পারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর]
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার গার্হস্থ্য হিংসার একটি অভিযোগে পেয়ে মধ্য ফ্রান্সের পিয়-দে-ডোম এলাকায় একটি বাড়িতে উপস্থিত হন পুলিশকর্মীরা। তখনই তাদের উপর গুলিবর্ষণ করে অভিযুক্ত ব্যক্তি। ওই হামলায় নিহত হয়েছেন তিন পুলিশ আধিকারিক। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক পুলিশকর্মী। গোটা ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে বন্দুকবাজের খোঁজে অভিযান চালানো হচ্ছে। ফরাসি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পর ওই বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে তারস্বরে মদত চাইছিলেন এক মহিলা। নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল। বৈবাহিক সম্পর্কে জটিলতা আসায় বাচ্চাদের অধিকার নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বচসা চলছিল তাঁর। তাঁদের বিবাদের মধ্যেই পুলিশ উপস্থিত হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গুলি চালাতে শুরু কর অভিযুক্ত ব্যক্তি। এদিকে, নির্যাতিতাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গেলেও হামলকারীকে ধরতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। এই ঘটনায় রীতিমতো চঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই ফ্রান্সে মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে একাধিক হামলা চালিয়েছে জেহাদিরা। তারপর থেকেই অত্যন্ত সতর্ক সে দেশের পুলিশ ও প্রশাসন। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না প্রশাসন, এহেন সময়ে তিন পুলিশকর্মীর হত্যা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে। গত অক্টোবরের ১৬ তারিখ প্যারিসের (Paris) বুকে এক শিক্ষককে মাথা কেটে খুন করে এক চেচেন মুসলিম জঙ্গি। পড়ুয়াদের বাক স্বাধীনতার পাঠ দিতে হজরত মহম্মদের একটি ব্যঙ্গচিত্র দেখিয়েছিলেন তিনি। ওই ঘটনাকে ‘ইসলামিক মৌলবাদের’ স্বরূপ বলে তোপ দেগেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওই শিক্ষককে ‘নায়ক’ বলে মন্তব্য করেন। হামলার ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ‘ইসলামিক বিচ্ছিন্নতাবাদ’ ও ‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদী হামলা’র মতো শব্দ ব্যবহার করেছেন তিনি। তারপর থেকেই আসরে নেমে পরে মুসলিম দেশগুলি। গতকাল নিস শহরে ঐতিহ্যবাহী নোতরদাম গির্জায় ‘আল্লাহু আকবর’ বলে হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একইভাবে অন্য একটি শহরে হামলার চেষ্টা করে এক ইসলামিক সন্ত্রাসবাদী।