মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: সন্ত্রাস দমনে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বড় সাফল্য পেল সেনাবাহিনী। সোমবার শোপিয়ান জেলায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে তিন সন্ত্রাসবাদী। নিহতদের মধ্যে রয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার দুই সদস্য।
[আরও পড়ুন: তলোয়ার নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ নিহাঙ্গ শিখদের, ২ অফিসারের হাতে কোপ]
কাশ্মীর পুলিশের শীর্ষকর্তা আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, শোপিয়ানের এনকাউন্টারে লস্করের দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। সংঘর্ষ এখনই চলছে। সেখানে আরও দুই জঙ্গি আটকে রয়েছে বলে মনে করছে সেনাবাহিনী। ভারতীয় সেনার চিনার কোর জানিয়েছে, মোট তিন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। চলতি মাসেই শোপিয়ান জেলায় সেনা, আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশের যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার সাজ্জাদ আফগানি। মূলত, যুবকদের মগজধোলাই করে তাদের জঙ্গি সংগঠনে টেনে আনার কাজ করত ওই জঙ্গি। শোপিয়ান জেলায় জইশের মাথা ছিল সে। তার মৃত্যুতে সংগঠনটি বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে ১০ মার্চ জম্মু ও কাশ্মীরে নিকেশ হয় কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ‘আল বদর’-এর প্রধান গানি খোয়াজা। উপত্যকায় একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার নেপথ্যে রয়েছে পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠনটি। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়েছিল আল বদর জঙ্গি সংগঠনের তরফে৷ সেখান থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে সংগঠন গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়। এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনই আগামীতে কাশ্মীরের কণ্ঠ হয়ে উঠবে বলে দাবি করা হয়৷ তবে খোয়াজার মৃত্যুতে সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।
সব মিলিয়ে সেনাবাহিনীর লাগাতার অভিযানে কাশ্মীরে কোণঠাসা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি। এছাড়া, জেহাদিদের সমর্থন দেওয়া নিয়ে ইসলামবাদের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। কয়েকদিন আগেই কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানায় আমেরিকা। সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর (Kashmir) নিয়ে বক্তব্য রাখেন মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস। কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ও অনুপ্রবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “নিয়ন্ত্রণরেখায় যে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে তাদের কাজের তীব্র নিন্দা করছি আমরা। কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি আলোচনার পক্ষে আমেরিকা।”