সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকা সফরে গিয়ে চিনকে কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই বার্তা ঘিরে আশায় বুক বাঁধছে অধিকৃত তিব্বত। সেখানকার নেতৃত্বের মতে, চিন যে কতখানি ভয়ংকর হয়ে উঠছে সেটা বুঝতে পেরেছে কোয়াডের সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে ভারত কী ভূমিকা নেয়, সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। উল্লেখ্য, চিনের রক্তচক্ষুর মোকাবিলা করতেই গঠিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান ও আমেরিকা এই চার দেশের কোয়াড জোট।
কোয়াড বৈঠকের পর মোদি বলেন, আমরা সকলেই নিয়মনির্ভর আন্তর্জাতিক নির্দেশকে সমর্থন করি, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই সমস্ত সমস্যার। এক উন্মুক্ত, সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল আমাদের সকলের অগ্রাধিকার। আর এটাই আমাদের অঙ্গীকার।” অর্থাৎ চিনকে কড়া বার্তা দেওয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একাধিপত্য বরদাস্ত করবে না কোয়াড।
মোদির এই বার্তার পরেই সেন্ট্রাল টিবেটান অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রেসিডেন্ট সিকিয়ং পেম্পা শেরিং বলেন, "বহু বছর ধরেই চিনের আগ্রাসী মনোভাব আমরা দেখেছি। এখন বুঝতে পারছি বিষয়টি নিয়ে কোয়াডও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এই গোষ্ঠীতে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিন যা আচরণ করছে, তার মোকাবিলা করতে কৌশলগত সহযোগিতা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।" কেবল কোয়াড নয়, ড্রাগনের রক্তচক্ষু মোকাবিলা করতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার অন্যান্য দেশগুলোও প্রতিরক্ষা মজবুত করছে বলে শেরিংয়ের দাবি।
অন্যদিকে, কোয়াডের মঞ্চ থেকে চিনকে এমন শক্তিশালী বার্তা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিব্বতের ডেপুটি স্পিকার দোলমা শেরিং। তাঁর কথায়, চিনা আগ্রসন নিয়ে ভারত এবং আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশগুলো কথা বলছে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে কি কোয়াড জোটের হাত ধরে চিনা দাদাগিরি থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছে অধিকৃত তিব্বত? সেদেশের নেতৃত্বের কথায় এমন ইঙ্গিতই দেখছে রাজনৈতিক মহল।