স্টাফ রিপোর্টার: স্বামীর সঙ্গে তান্ত্রিকের যোগাযোগের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্তের স্ত্রীই। তিলজলা শিশুখুনে ধৃত অলোক কুমারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। অভিযুক্তই পুলিশকে জানিয়েছে, স্ত্রীর গর্ভপাত রুখতে নাকি তান্ত্রিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল অলোক। তান্ত্রিকই আট বছরের মধ্যে সুলক্ষণ শিশুকে নরবলি দিতে বলেছিল। লালবাজার সূত্রে খবর, অভিযুক্তের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি অন্তঃসত্ত্বা। স্বামীর সঙ্গে কোনও তান্ত্রিকের যোগাযোগ হয়নি বলে জানিয়েছেন।
রবিবার খুনের সময় তিলজলায় ফ্ল্যাটে ছিলেন না অলোকের স্ত্রী। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে তিনি বাপের বাড়িতে রয়েছেন। তিলজলা শিশুখুনের ঘটনায় ধৃত অলোকের তন্ত্রসাধনার তত্ত্ব নিয়ে প্রথম থেকে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছে পুলিশ। নিমতলা ঘাট থেকে তারাপীঠ সর্বত্র চিরুনি তল্লাশি চালিয়েও ধৃতের বিবরণ দেওয়া তান্ত্রিকের খোঁজ পাননি তদন্তকারীরা। সেখানে থাকা তান্ত্রিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু অলোকের বর্ণনা দেওয়া তান্ত্রিকের সন্ধান মেলেনি। এমনকী, যে নাম বলা হয়েছে ওই নামের কোনও তান্ত্রিক নিমতলা ঘাটে নেই বলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে। নিমতলার পাশাপাশি কলকাতার প্রতিটি ঘাট ও শশ্মান যেখানে তন্ত্রসাধনা করা হয়ে থাকে সেখানে খোঁজ চালানো হয়। ফলে ধৃতের দেওয়া তান্ত্রিকের তত্ত্ব নিয়ে সন্দেহ ছিল পুলিশ।
[আরও পড়ুন: জিতেন্দ্রকে ভরতির প্রয়োজন নেই, প্রাথমিক চিকিৎসার পর জানাল SSKM, বিজেপি নেতার ঠাঁই প্রেসিডেন্সি জেলে]
অলোকের স্ত্রীকে জেরা করার পর গোয়েন্দাদের সন্দেহ আরও জোরালো হচ্ছে। আসলে তান্ত্রিকের গল্প দিয়ে অভিযুক্ত পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। যে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় মেরে শিশুকে খুন করা হয়েছিল সেটি অলোকের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে। এদিকে তিলজলায় হিংসা ছড়ানোয় আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৩০ জন গ্রেপ্তার।