অর্ণব আইচ: পার্সেলের ভিতর থেকে বিপ বিপ শব্দ। টাইম বোমা না কি? মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল জিপিওয়। ডাক বিভাগের এই সদর ভবনে দৌড়াদৌড়ি কর্মীদের। ডাক পড়ল পুলিশের। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেল বম্ব স্কোয়াড, পৌঁছল পুলিশ কুকুর। জিপিও প্রায় ফাঁকা। সন্দেহজনক পার্সেলটি নামিয়ে আনা হল রাস্তায়। টানটান উত্তেজনা। এই বুঝি ফাটে টাইমবোমা।
শেষ পর্যন্ত সন্দেহের অবসান। পার্সেল থেকে বের করা হল ব্যাটারিচালিত ‘নিরীহ’ একটি যন্ত্র। জিপিও-র কর্মী থেকে পথচারী, স্বস্তির শ্বাস ফেললেন সবাই। নিশ্চিন্তে পুলিশও।
[আরও পড়ুন: বিহারের আস্থাভোটে বড়সড় জয় নীতীশ কুমারের, ওয়াকআউট করল বিজেপি]
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার পার্সেল বাছাইয়ের কাজ চলছিল ডাক বিভাগের সদর দপ্তরে। জিপিওর কর্মীরা কাজ করতে করতেই শুনতে পান বিপ বিপ শব্দ। কিছুক্ষণের মধ্যেই শনাক্ত করা হয় বিশেষ পার্সেলটিকে। পার্সেলটি আগাগোড়া মোড়ানো। তাই ভিতরে কী বোঝার উপায় নেই। খবর ছড়িয়ে পড়ে, জিপিওর পার্সেলের ভিতর টাইম বোমা। বোমা ফাটলে উড়ে যাবে জিপিও। ওই ঘরটিতে ছুটে আসেন জিপিও-র কর্তাও। ডাক বিভাগের এক আধিকারিক জানান, তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা করে দিতে বলেন এলাকাটি। কর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে বাইরে যেতে বলে হয়। পুরো জিপিও জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এমনকী, মানুষের ভিড় দেখে পথচারীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে অল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে যায় মধ্য কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। খবর যায় লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ কুকুর। এর পর বিশেষ বিস্ফোরক নিরোধক আধুনিক পোশাক পরে পৌঁছে যান বম্ব স্কোয়াডের আধিকারিকরাও। তাঁরা বিপ বিপ শব্দ বের হওয়া পার্সেলটি অতি সাবধানে বাইরে বের করে নিয়ে আসেন। এলাকা ফাঁকা করে দেওয়া হয়। এক বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ বিশেষ পোশাকেই পার্সেলটি খুলতে শুরু করেন। শেষে পার্সেলের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে একটি স্প্রে মেশিন।
পুলিশ দেখে, ওই যন্ত্রটি আসলে ব্যাটারি চালিত। মেশিনটি চালু করার জন্য সুইচও রয়েছে। পার্সেলটি নাড়াচাড়া করার সময়ই মেশিনের সুইচ অন হয়ে যায়। তার ফলেই ভিতর থেকে শব্দ বের হয়ে সৃষ্টি হয় টাইম বোমার আতঙ্ক। ওই বস্তুটি কার হাতে পৌঁছনোর কথা ছিল, ত খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।