সুবীর দাস, কল্যাণী: ভোটের (West Bengal Lok Sabha Election 2024) দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কোমর বেঁধে প্রচারে ব্যস্ত শাসক-বিরোধী উভয়েই। তারই মাঝে তাল কাটল নদিয়ার রানাঘাটে। বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল। যদিও হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক শিবির।
রানাঘাটে এবারও বিজেপি প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar)। রবিবার সকালে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। চাকদহ থানার শিমুরালি মালোপাড়ায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অভিযোগ, সেখানে আসার পরেই হঠাৎ একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী চলে আসে। তাঁর দিকে কার্যত ধেয়ে আসে দুষ্কৃতীরা। হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ। অভিযোগ, এক বিজেপি কর্মীর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আছাড় মেরে ভেঙে ফেলা হয়। এক বিজেপি কর্মীর গলার সোনার হার ছিনতাই করা হয় বলেও অভিযোগ বিদায়ী সাংসদ তথা প্রার্থীর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। এর পর বিধায়ক ও বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী দলীয় কর্মীদের নিয়ে চাকদহ থানায় পৌঁছন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে চাকদহ থানায় অভিযোগও দায়ের হয়।
[আরও পড়ুন: গাড়িতে রক্তের দাগই ধরিয়ে দিল ‘খুনি’কে! ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিউ টাউনে ট্রলি ব্যাগে দেহ রহস্যের কিনারা]
তবে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। রানাঘাটের বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে পালটা অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সংগ্রাম গুহ ঠাকুরতা। তিনি অভিযোগ করেন, সাংসদ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এসে নিজেই অশান্তি তৈরি করেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দাঁড় করিয়ে তিনি তিন তৃণমূল কর্মীকে মারধর করেছেন বলেই অভিযোগ। ওই তৃণমূল নেতার আরও দাবি, অশান্তি তৈরির পরেও ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ করছেন। ভোটের আগে প্রচার কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা। অশান্তি আরও বাড়বে না তো, এই প্রশ্ন করছেন কেউ কেউ। যদিও পুলিশের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।