দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ভাঙড়ে সিপিএমের মিছিলের উপর হামলা। কাঠগড়ায় তৃণমূল। পুলিশের সামনেই সিপিএমের মিছিলে হামলা করা হয়েছে এই অভিযোগে লেদার কমপ্লেক্স থানা ঘেরাও সিপিএমের। ঘেরাও হঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন মিছিলকারীরা। কার্যত রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। যদিও সিপিএমের মিছিলে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
পুলিশের অনুমতি নিয়েই রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের পাইকান থেকে গাবতলা পর্যন্ত সিপিএমের মিছিল করার কথা ছিল। মিছিলকারীদের অভিযোগ, জাঠা চলাকালীন স্থানীয় তৃণমূল নেতা জুলফিক্কার মোল্লা ও রশিদ মোল্লার অকারণে ঝগড়াঝাটি শুরু করে। দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ক্রমশ বাদানুবাদ হাতাহাতিতে পরিণত হয়। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। সিপিএমের দাবি, তাঁদের তিনজন সমর্থক গুরুতর জখম হন। প্রত্যেককে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ হাতের কালী প্রতিমা, অশনি সংকেত নাকি অলৌকিক কাণ্ড? উঠছে প্রশ্ন]
মিছিলকারীদের দাবি, পুলিশ উপস্থিত থাকলেও হামলাকারীদের কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। প্রতিবাদে লেদার কমপ্লেক্স থানার সামনে বিক্ষোভে শামিল হন সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা। অবস্থান হঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গেও হাতাহাতি হয়। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। বাসন্তী হাইওয়েতেও অবরোধ করেন সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা হয় পুলিশের। তবে এখনও চলছে পথ অবরোধ।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। গণতন্ত্র বলে বাংলায় আর কিছু নেই বলেই দাবি করছেন তিনি। পালটা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন অবশ্য সিপিএমের উপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। হামলার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন তিনি। কখনও বিজেপি, আবার কখনও কংগ্রেসের হাত ধরে সিপিএম বারবার নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণের ব্যর্থ চেষ্টা করছে বলেই কটাক্ষ তাঁর।