স্টাফ রিপোর্টার: সব ঠিক থাকলে এবার দীর্ঘ দু’বছর পর ধর্মতলায় ফিরবে তৃণমূলের (TMC) বার্ষিক শহিদ সমাবেশ। স্বাভাবিকভাবেই সেই সমাবেশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন তৃণমূলনেত্রী। একুশের মঞ্চ থেকেই চব্বিশের লড়াইয়ের ব্লুপ্রিন্ট ঘোষণা করে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ, সেই সভারই প্রস্তুতি বৈঠক তৃণমূল ভবনে। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই বৈঠক হওয়ার কথা। ডাকা হয়েছে সমস্ত বিধায়ক, জেলার সভাপতি, যুব সভাপতি ও পদাধিকারীদের।
কীভাবে একুশের সমাবেশের আয়োজন হবে, তার ব্যাপ্তি কতটা হতে পারে- তার প্রস্তুতিতেই আজ অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বৈঠক। প্রতি বছর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে দলের গোটা বছরের কর্তব্য ঠিক করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র-বিরোধী লড়াইয়ের অভিমুখ স্পষ্ট করে দেন। দল ইতিমধ্যে বড় হয়েছে। রাজ্যের বাইরে পা রেখেছে শুধু নয়, একাধিক রাজ্যে লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘আমি নমাজ পড়ি না, ইফতারে গেলে আপত্তি কোথায়?’, নাম না করে বিজেপিকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর]
ত্রিপুরা, গোয়া, অসম, মেঘালয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চলে গিয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় তো এই মুহূর্তে লড়াইয়ের প্রধান মুখ। এই অবস্থায় সামনে একুশে জুলাই। ধর্মতলার পাশাপাশি তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ত্রিপুরা, অসমের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের মতো রাজ্যগুলিতেও সেই কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল।
গত দু’বছর দেখা গিয়েছে, এই কর্মসূচি ভিনরাজ্যে করতে গিয়ে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। অনুমতি দেওয়া হয়নি তৃণমূলকে। দলীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, এবার পরিস্থিতি অন্য। সমস্ত শক্তি নিয়ে ত্রিপুরার মতো রাজ্যে ময়দানে তৃণমূল। দিল্লিতে সদ্য অবিজেপি দলগুলিকে নিয়ে বিকল্প মঞ্চ শক্তিশালী জমি তৈরি করে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলনেত্রীর একুশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য চব্বিশের লড়াইয়ের দিক নির্দেশ করবে। যা নিয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সমাবেশ। চব্বিশের লড়াইয়ের অভিমুখ স্পষ্ট করে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের সমাবেশ থেকে সেই নেত্রীর সেই বার্তা নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”